খুলনার বটিয়াঘাটার সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় মামলা প্রত্যাহার না করলে এসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনায় জিডির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন আসামির জামিন বাতিল করেছে আদালত।
মঙ্গলবার সকালে খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হাদিউজ্জামান জামিন বাতিলের এ আদেশ দেন। আদেশের পর তিন আসামিকে জেলে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন- ৪০ বছরের রঞ্জি বেগম, তার ছেলে ২২ বছর বয়সী সালাউদ্দিন খাঁ ও ২৫ বছরের মেয়ে নুপুর খাতুন। এ মামলার আরেক আসামি নূর আলম আগে থেকেই কারাগারে রয়েছেন।
জামিন বাতিলের আদেশের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজিলুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘নারী ফুটবলারদের মারধরের মামলায় তিন আসামি ২১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু তারা জামিনে থাকা অবস্থায় বাদী পক্ষকে হুমকি দেয়ায় বাদী পক্ষ থানায় জিডি করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের আজ (মঙ্গলবার) হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়। আসামিরা আদালতে হাজির হলে উভয়পক্ষের শুনানি হয়।’
তিনি জানান, জামিনে থাকা অবস্থায় শর্ত ভঙ্গ করায় আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলায় ২৯ জুলাই রাতে বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামে পর্যায়ক্রমে চার নারী ফুটবলারকে মারধর করেন নুর খাঁ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ৩০ জুলাই বটিয়াঘাটা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা প্রচেষ্টা মামলা করেন ফুটবলার সাদিয়া নাসরীন।
পুলিশ নুরকে গ্রেপ্তার করলেও অপর তিন আসামি আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। পরে ভুক্তভোগীদের এসিড দিয়ে শরীর ঝলসে দেয়ার হুমকি দিলে সাদিয়া তিনজনকে অভিযুক্ত করে ১ আগস্ট থানায় জিডি করেন।