বিয়ের দাওয়াত পান না, অথচ প্রায় দিনই দুই/একটা বিচ্ছেদের শুনানি করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন চৌডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হাবিব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন সভায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গোলাম কিবরিয়া হাবিব বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েও বিয়ের দাওয়াত কয়েক বছরে খুব বেশি পাইনি। অথচ এখন প্রায় দিনই দুই/একটা বিচ্ছেদের শুনানিতে আমাকে অংশ নিতে হয়।
‘বিবাহ বিচ্ছেদের এসব ঘটনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাল্যবিয়ে হয়েছিল। আমাকে দাওয়াত না দেয়ার কারণই হচ্ছে তারা গোপনে বাল্যবিয়ে দিয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বিয়ে রেজিষ্ট্রিও করা হয় না, যা প্রকাশ হয় বিচ্ছেদের সময়।’
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
সভায় বাল্যবিয়ে ও বাল্যবিয়ে-পরবর্তী সময়ের চিত্র তুলে ধরেন একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তারা জানান, বাল্যবিয়ে বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি কাজি, অভিভাবকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে গোপনে বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব নয়।সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।দিনব্যাপী এ আয়োজনে বাল্যবিয়ে ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জীবনমান উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন অংশগ্রহণকারীরা।
এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদকে বাল্যবিয়ে রোধে বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।