মুন্সিগঞ্জে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় মাহিদ নামের আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জনে।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে ভাসমান অবস্থায় পাঁচ বছর বয়সী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে আজ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হলো। স্বজনদের দাবি, এখনও আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কয়েস আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা ভাটিতে আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বজনের দাবি অনুযায়ী এখনও আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ ওই শিশুর সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর টিম।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, নিখোঁজ এক শিশুর সন্ধানে ঘটনাস্থলে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল।
এর আগে ট্রলার ডুবির ঘটনার দিন রাতে প্রশাসন থেকে জানানো হয় আটটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা। কিন্তু দাফন কাফনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা দিতে গেলে একই নাম দুইবার আসায় প্রশাসন থেকে বিকেলে ঘোষণা করে মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা সাত।
শনিবার রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলা খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪৬ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিকনিকের ট্রলার।
লৌহজং থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। লৌহজং থানায় করা মামলাটির বাদী ট্রলারডুবিতে সন্তানসহ পাঁচ স্বজন হারানো রুবেল শেখ। মামলায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বাল্কহেডের মালিক, চালক, চালকের সহকারীসহ পাঁচজনকে। সবাই অজ্ঞাতনামা।