ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত সাঈদ মারা গেছে। এ ঘটনায় সুমন নামে আরেক স্কুলছাত্রকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদের মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতেই সুমনকে আটক করে পুলিশ।
১৭ বছর বয়সী নিহত সাঈদ ও আটক সুমন এবছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় দেওখোলা বাজার হাসপাতাল রোডে মেয়েদেরকে ইভটিজিং করা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাঈদ ও শ্রাবণকে ছুরিকাঘাত করে সুমন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাঈদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয় তার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে রাতেই সুমনকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত সাঈদের এক সহপাঠী জানায়, সাঈদ ও শ্রাবণ হরে কৃষ্ণ উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র। তারা একইসঙ্গে প্রাইভেট পড়ত। মঙ্গলবার প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কাঠগোলা এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল তারা। এসময় মণ্ডলবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী হেঁটে যাচ্ছিল। এসময় শ্রাবণ মেয়েদের উক্তত্যমূলক ইঙ্গিত করে ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করে। শ্রাবণের মন্তব্য শুনে মেয়েদের পেছনে হেঁটে আসা ওই স্কুলের ছাত্র সুমন প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
এ ঘটনার জেরে বুধবার সকালে ছুরি নিয়ে শ্রাবণ ও সাঈদকে খুঁজতে আসে সুমন। এসময় তাদের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্রাবণের পেটে ছুরিকাঘাত করে সুমন। দৌড়ে পালাতে চাইলে সাঈদকেও ছুরিকাঘাত করে সে।