খুলনা নগরীর কাশেম সড়কের সবুজপল্লী ও গগণবাবু রোডে আলাদা দুটি ঘটনায় পুলিশের সোর্স ও এক শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে নগরীর ৪ নম্বর কাশেম সড়ক সবুজপল্লী এলাকায় সোহাগ পাটোয়ারী নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সোহাগ পাটোয়ারী পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
লবণচরা থানার ওসি মো. এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ফোন করে সোহাগকে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। সবুজপল্লী প্রধান সড়কের পাশে পৌঁছামাত্র ওৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা চাপাতি ও ছুরি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে নগরীর গগণবাবু রোডে তুচ্ছ ঘটনায় কিল-ঘুষিতে ৫৫ বছর বয়সী শ্রমিক সরদার বাবুল নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত বাবুল গগণবাবু রোডের ৩ নম্বর গলিতে বাস করতেন।
এ ঘটনায় খুলনার শিরোমনি পুলিশ লাইনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত সাইফুলকে আটক করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাইফুল মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় হর্ন দেওয়ার পরও বাবুল সরেনি- এমন অভিযোগ তুলে সাইফুল তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়।
এক পর্যায়ে সাইফুল তাকে কিল-ঘুষি মারলে বাবুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে রাতে বাবুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর সাইফুলকে শিরোমনি পুলিশ লাইন থেকে আটক করা হয়।