তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে রোববার বিকেল আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, আগুন-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টার প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
সাদ্দাম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার শর্ট টার্ম অ্যাডভান্টেজ দিলেও লং টার্ম ডিজাস্টার তৈরি করেছে। আমরা রোদে পুড়ব, বৃষ্টিতে ভিজব। তবু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য রাজপথে থাকব। আমরা প্রধানমন্ত্রীর বিজয় সুনিশ্চিত করেই ঘরে ফিরতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। বাইরে থেকে নির্দেশ এসেছে, কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। আমরাও বলতে চাই, সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে আমরা একজোট হয়েছি।’
সাদ্দাম বলেন, ‘ব্রিটিশরা যেমন কাশিমবাজার কুঠি তৈরি করেছিল তেমনই নয়াপল্টনে কাশিমবাজার কুঠি তৈরি করা হয়েছে সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিতে।
‘আগের দিনে বলা হতো চোরের মায়ের বড় গলা। চোর তারেক জিয়া, তার মায়ের বড় গলা। এখনকার স্মার্ট ছাত্ররা বলে, চোরের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বড় গলা।
‘জীবনানন্দ বলেছিলেন- আজকে যারা অন্ধ, সবচেয়ে বেশি চোখে দেখে তারা। এটা যেন মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে লেখা। জীবনানন্দ দাস বেঁচে থাকলে হয়তো কবিতাটি ফখরুলকে উৎসর্গ করতেন।’
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন এলেই আগুন লাগিয়ে, মানুষ পুড়িয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করে। ছাত্রসমাজ ইতোমধ্যে তাদের বয়কট করেছে। তাদের কর্মসূচিতে কেউ সম্পৃক্ত হয়নি।
‘যেভাবে লাদেন আফগানিস্তান থেকে ভিডিও বার্তা দিতেন ঠিক সেভাবে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ভিডিও বার্তা দেন। আর ফখরুল এদেশ থেকে টাকা তুলে তার কাছে পাঠালে সেই টাকা দিয়ে তারেক জুয়া খেলেন।’
শয়ন বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা আমাদের সংগ্রামের অংশ। আগামীতে সরকার কে গঠন করবে তা ঠিক হবে রাজপথে। আর রাজপথ নিয়ন্ত্রণ করবে ছাত্রলীগ।
‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। আমরা বেঁচে থাকতে শেখ হাসিনাকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। টেক ব্যাক বাংলাদেশের বিপরীতে আমাদের স্লোগান হোক- ওয়ানস এগেইন বাংলাদেশ।’