গত মৌসুমেও ডিজে গান পার্টির বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগ। তবে এবার উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে বিপাকে পড়েছে ‘ডিজে পার্টি’। ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারা হাটে ট্রলারে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে খোয়াতে হয়েছে সাউন্ড বক্স, গুণতে হয়েছে জরিমানা।
শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও সাউন্ড বক্স জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত।
প্রতিবছর পেয়ারার মৌসুমে পর্যটকদের মিলনমেলা বসে ঝালকাঠির ভিমরুলীর ভাসমান পেয়ারা হাটে। প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ দর্শনে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক এখানে ভিড় করেন।
তবে সম্প্রতি এখানে শুরু হয়েছে নতুন উৎপাত। অতিমাত্রার আওয়াজে ডিজে গান বাজিয়ে উল্লাস করে ট্রলারে করে হাটে ঘুরতে আসছে কিশোর-যুবকরা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ পর্যটক।
গত কয়েকদিনে পর্যটকদের ভীড় বেড়েছে ভাসমান হাট ভিমরুলীতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ভীড় করেছেন ভাসমান পেয়ারার হাটে। সঙ্গে বেড়েছে ‘ডিজে পার্টি’র সমাগম।
উচ্চ শব্দের ডিজে গান বাজিয়ে বাগানে ঘুরতে আসা কিশোরদের বিরুদ্ধে গত বছরও অভিযোগ ছিল। তবে এবছর ‘ডিজে পার্টি’র কর্মকাণ্ডে বন্ধে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে বাগান ও হাট এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রসাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংছিং মারমা, মিলন চাকমা ও মং এছেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী অংছিং মারমা বলেন, ‘যারা উশৃঙ্খলা করেছে, সেসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলায় ৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ১৩টি সাউন্ড বক্স জব্দ করা হয়েছে।’
আগামীতেও আইন ভঙ্গকরারীদের জেল-জরিমানা করা হবে বলে জানান তিনি।
পর্যটক শিল্পী রানী বলেন, ‘এবার পেয়ারার রাজ্যের পরিবেশ একটু ভিন্ন। কোনো শব্দ দূষণ নেই। প্রশাসনের এই অভিযান আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।’
আরেক পর্যটক দেবাশিষ বড়ুয়া বলেন, ‘খুলনা থেকে এসেছি। প্রশাসন এখানকার পরিবেশ শান্ত রেখেছে যা গেল বছরে ছিল না। এভাবে নজরদারি করলে পর্যটকরা পরিবারসহ ঘুরতে আসবে।’
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, ‘পর্যটকদের দিক বিবেচনা করে পুরো মৌসুমজুড়ে অভিযান চলবে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের থেকে শুক্র ও শনিবারের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। উচ্চ শব্দে ডিজে গান বন্ধসহ ওখানকার খাবার হোটেলগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।’