বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আদেশে ধোলাইখালে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) যুগ্ম কমিশনার (সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম) খন্দকার নুরুন্নবী।
ঘটনাস্থলে শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
যুগ্ম কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘বাবুবাজার সেতুর নিচে বিএনপি অবস্থান করে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তারা আমাদের কমিশনার স্যারের কাছ থেকে অনুমতি পাননি। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলতে পারছিল না। আমরা প্রথমে সড়ক ছেড়ে দিতে তাদের ওয়ার্নিং দেই। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ হামলায় আমাদের ১০-১৫ জন আহত হন। আমরা ১২ জনকে আটক করি।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি এ সমাবেশে লিড দিচ্ছিলেন। তার আদেশেই বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালান। পরে তাকে আমরা হেফাজতে নিই।’
এদিকে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় শনিবার অবস্থান নিতে আসা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রাজধানী মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় থেকে গাড়িতে করে গয়েশ্বরকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে গয়েশ্বরকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার গয়েশ্বরের নেতৃত্বে ধোলাইখাল এলাকায় অবস্থান নেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়।
ওই সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হেফাজতে নেয়ার কথা জানায় পুলিশ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতাকে পুলিশ সদস্যরা ধরে নেয়ার সময় তার কানের পাশ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা তাকে (গয়েশ্বর) হেফাজতে নিয়েছি।’