সাত সাগরের পানিকে কালি বানালেও আওয়ামী লীগের অপরাধ লেখা শেষ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার মৎস্য ভবনের সামনে বিকেল চারটা থেকে সমাবেশ শুরু হয়।
আবুল হাসান রুবেল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দোষ কোথায়? আপনাদের দোষ হলো আপনারা ভোট চুরি করেছেন। শত শত মায়ের বুক খালি করেছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে গরিবের পেটে লাথি মেরেছেন।
‘আপনারা লুটপাট করে টাকা পাচার করে দিয়েছেন। এরপরও বলবেন আপনাদের অপরাধ কোথায়? আপনাদের অপরাধ লিখতে হলে সাত সাগরের পানিকে কালি বানালেও তা লিখে শেষ হবে না।’
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, ‘আজ থেকে ইতিহাসের নতুন যাত্রা শুরু হবে। শেখ হাসিনার অন্ধকার যুগের পতন ঘটিয়ে নতুন সূর্য উদিত করবো আমরা। আমরা দেখছি, ছাত্রলীগ হলের সিট কেড়ে নেয়ার হুমকি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে জোর করে শিক্ষার্থীদের শান্তি সমাবেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ধিক্কার জানাই।’
ভাাসানী অনুসারী মঞ্চের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, ‘তেতুল গাছের কাছে আম চাইলে ত আম পাওয়া যাবে না। মেডিক্যাল কলেজগুলো আজকে ডাক্তার তৈরি করছে না, তারা তৈরি করছে কসাই। সরকার আসে সরকার যায়। ক্ষমতার পরিবর্তনের পাশাপাশি রাষ্ট্র শাষণ ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
‘আমাদের এই দাবি বিএনপি মেনে নিয়েছে। এটি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না নামানো পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবো না।’
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘এই স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশে কোনো ইলেকশন হবে না। আমাদের সমাবেশ প্রমাণ করেছে, মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে চায়।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘রাজপথে রক্ত দিয়ে আইয়ুব-ইয়াহিয়ার মতো এই ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে বিতাড়িত করতে হবে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আবুল হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সরকারকে আমরা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে দেব না। তারপর আমরা রাস্ট্র সংস্কারের এক দফা শুরু করবো। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের পরিবর্তনের পথে মানুষ হাঁটতে শুরু করেছে।
‘শেখ হাসিনা, আপনি যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে যাবেন ততই দেশের মঙ্গল। আপনি যদি গড়িমসি করেন তাহলে খুব ভুল করবেন। জনগণের ভালো চান কি না সেটি নির্ধারিত হবে আপনি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়ছেন কি না তার ওপর।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যতদিন হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করবেন ততদিন আমাদের এই লড়াই চলবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘প্রকৃতি আজকে জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সংগ্রামী মানুষের সাথে প্রকৃতি তার ছায়া নিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাবুন, কীভাবে বিদায় হতে চান। আপনারা যদি ভাবতে না পারেন তাহলে আপনাদের বিতাড়ন করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’