হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের চারটি প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে এবং এতে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অথবা এ সময়ের কাছাকাছি সময়ে দেশের মধ্যে এবং উজানের অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যার ঝুঁকি রয়েছে বিশেষ করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলোতে, যেখানে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় এবং ভারতের উজানের অংশে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে ১১৮ মিলিমিটার, নীলফামারীর ডালিয়ায় ৮৫ মিলিমিটার এবং কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ২৬১ মিলিমিটার, কোচবিহারে ১৯০ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ১৭২ মিলিমিটার এবং শিলিগুড়িতে ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটে ৮৯ মিলিমিটার এবং সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেছে, নদীসংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত মানুষ পানির দ্রুত বৃদ্ধি ও বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজন হলে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো যায়।