রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে বুধবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মেয়েশিশুকে ভর্তি করাতে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে হাতাহাতির মামলায় গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মুগদা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, হাতাহাতির ঘটনায় মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসক বনি ইয়ামিন বাদী হয়ে বুধবার মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হাবিবুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ছয় দিন ধরে ডেঙ্গুতে ভোগা আদিবাকে নিয়ে বুধবার ভোরে ঢাকার মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান, কিন্তু হাসপাতালে শয্যা খালি নেই জানিয়ে চিকিৎসক তাকে ফিরিয়ে দিতে চাইলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে চিকিৎসকের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
‘পরে তাকে পুলিশে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মারধরের মামলা করেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক। আজকে (বৃহস্পতিবার) হাবিবুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু মারামারির মামলা, সেহেতু আশা করি জামিন পেয়ে যাবেন।’
প্রেক্ষাপট
ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিন আগে সাত বছর বয়সী আদিবার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালে সিট না পাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে বাবা হাবিবুর রহমান তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে গিয়ে দরজা বন্ধ পান তারা। তখন একজন আয়ার কাছে মেয়ের অবস্থা জানিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেন।
আদিবার মা সাথী বলেন, “নার্স ডাক্তারকে দেখাতে বললে আমরা গিয়ে দেখি, ডাক্তারের রুম লক করা। নক করলে একজন ডাক্তার দরজা খোলেন। আমার হাজব্যান্ড ওই ডাক্তারকে বলে, ‘স্যার আমার বাচ্চা অনেক অসুস্থ, নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। তাকে একটু দেখেন।’ ডাক্তার বললেন, ‘এইখান থেকে যান, সিট নাই।’ ডাক্তার আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
“একপর্যায়ে আমার স্বামীকে চড় মারলে আমার স্বামী ওই চিকিৎসকের কলার ধরেন। পরে আরও কয়েকজন এসে আমাদের মারধর করেন।”
সাথী আরও বলেন, ‘ওই ডাক্তার তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে আমার স্বামী হাবিবুর রহমান দরজায় লাথি দেন। সে সময় তিনি (ডাক্তার) ৯৯৯-এ ফোন করেন, কিন্তু পুলিশ এসে আমার স্বামীকেই থানায় নিয়ে যায়।’