বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দোলনা চুরি করে পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ২৬ জুলাই, ২০২৩ ২৩:৪৯

পাশের দোকানদার মো. রাশেদ বলেন, ‘পুলিশ সদস্য প্রথমে দোকানদারের কাছ থেকে দোলনাটি কিনতে চান। কিন্তু দাম বেশি বলায় তিনি আর সেটি নেননি। কিছুক্ষণ পর দোকানদার নাশতা করতে গেলে দোলনাটি চুরি করে নিয়ে যান তিনি।’

কক্সবাজার টেকনাফে ম্যাট্রেসের দোকান থেকে শিশুদের দোলনা চুরির অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার সামনে নাছির উদ্দিনের ম্যাট্রেসের দোকানে ঘটনাটি ঘটে। পরে দোকানদার থাকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করেন।

অভিযুক্ত কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম রুবেল আগে টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (১৬ এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন। বর্তমান তিনি কক্সবাজার বিএন সদরে কর্মরত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হাসান বারী।

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় মামলাসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

একই মার্কেটের পাশের দোকানদার মো. রাশেদ বলেন, ‘আমাদের মার্কেটর প্রথম দোকান ওইটি। পুলিশ সদস্য প্রথমে দোকানদারের কাছ থেকে দোলনাটি কিনতে চান। কিন্তু দাম বেশি বলায় তিনি আর সেটি নেননি। কিছুক্ষণ পর দোকানদার নাশতা করতে গেলে দোলনাটি চুরি করে নিয়ে যান তিনি।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘আমরা সব দোকানদার প্রথমে সন্দেহ করেছিলাম দোলনাটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন দোকান মালিক নাশতা করতে গেছে দেখে দোলনাটি নিয়ে যায়। পরে দোকানদার এসে দোলনাটি খুঁজলে টেকনাফের লামার বাজারে এক দোকানে বিক্রি করতে গেছে এমন খবর পেয়ে ছুটে যাই। সেখান থেকে সবাই মিলে তাকে ধরে থানায় সোপর্দ করি।’

এ বিষয়ে দোকানের মালিক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘কাল সন্ধ্যায় এসে আমার দোকানে শিশুদের দোলনাটি কেনার জন্য দাম জানতে চান ওই পুলিশ সদস্য। তখন আমি দাম বলে নাশতা করতে গেলে দোলনাটি চুরি করে নিয়ে যান তিনি। দোকানে ফিরে এসে দেখি দোলনাটি নেই। তখন দোলনাটি খুঁজলে এক দোকানদার খবর দেয় তার দোকানে বিক্রি করতে গেছে। এ খবরে ওই দোকানে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি দোলনাটি তার সঙ্গে রয়েছে। পরে আমি স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে টেকনাফ থানায় নিয়ে আসি।’

এ ঘটনার পর ১৬ এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হাসান বারী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আজ বিকেলে কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম রুবেলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম পুলিশ পরিচয়ে দোকান থেকে দোলনা চুরির করে সেটি আবার অন্য দোকানে বিক্রি করেন। এই কনস্টেবল বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য হওয়া সত্ত্বেও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি জনসম্মূখে ক্ষুণ্ন করেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর