বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে না বরং যেসব কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে তা পূর্বনির্ধারিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের শোকের মাসের কর্মসূচিও যখন আমরা নিতে যাই তখনও বিএনপি ও তার দোসররাতো বলেই, কিছু মিডিয়াও এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বলে প্রচার করে। শোকের মাসেও কী আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করতে যাচ্ছি?
‘আমরা তো বলেছি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। ২৪ থেকে ২৭, ২৭ থেকে ৩০ এটা আমাদের সুবিধার ব্যাপার। আপনারা ডেকেছেন মহাসমাবেশ আর আমাদেরটা হলো তারুণ্যের সমাবেশ। তারুণ্যের যাত্রা। এখানে পাল্টাপাল্টি হলো কী করে? কোথায় পাল্টাপাল্টি হলো?’
তিনি বলেন, ‘কী কারণে আমরা সংঘাত করব? সংঘাত তারাই করে যারা দুর্বল, তাদের কোনো সমর্থক নেই। আমরা সংঘাত করতে যাব কেন?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কিছুটা দুঃখ-কষ্টে আছে। এরপরও শেখ হাসিনার সততা ও পরিশ্রমের প্রতি জনগণের আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৭০ শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। জনগণের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। ২০০৯ পূর্ববর্তী এবং ২০০৯ পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে, শেখ হাসিনা এটাকে পরিবর্তন করেছেন।’
নেতা-কর্মীদের আসন্ন শোকের মাসের ভাবগম্ভীর্য বজায় রাখার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘শোকের অনুষ্ঠানের নামে কোথাও কোনো ধরনের চাঁদাবাজি চলবে না।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদাল চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।