বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

'মাল্টা ফেলা' ছিনতাইকারী চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ২৩ জুলাই, ২০২৩ ২২:০৪

বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘শুধু স্বর্ণের চেইন বা কানের দুল নয়, তারা যে সময় সুযোগ পেত সে সময় সবই নিয়ে নিত। মলম লাগিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে এসব কাজ করতো। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

হাতের মাল্টা রাস্তায় ফেলে বা চেতনানাশক মিশ্রিত কোমল পানীয় পান করিয়ে অভিনব কায়দায় ছিনতাই করত একটি চক্র।

ওই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লার বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন।

বরুড়া উপজেলার তলাগ্রাম এলাকার ভাউয়াল বাড়ির পাশ থেকে সিএনজিচালিত অ‌টো‌রিকশাসহ চক্রটির ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বরুড়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ২৭ বছর বয়সী রাসেল, ৪৫ বছর বয়সী সেলিনা আক্তার ওরফে শিল্পী, ৪৫ বছর বয়সী লিটন মিয়া, ৩০ বছর বয়সী সুমন, ৩১ বছর বয়সী মারুফ ওরফে আশিক ও ১৯ বছর বয়সী সুমাইয়া ওরফে শিউলী ।

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি অ‌টো‌রিকশা, ছয় পিস মাল্টা ও বিভিন্ন ধরনের চেতনানাশক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মারুফ ওরফে আশিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে দেয়া ছিনতাইকারী চক্রের তথ্য থেকে জানা যায়, সিএনজিচালিত অ‌টো‌রিকশায় যাত্রী সেজে বসতো চারজনের একটি দল। সামনে চালক ও তার পাশে দুজন। পেছনে সিটে আরও একজন।

তাদের টার্গেট গলায় সোনার চেইন ও কানে দুল পরা নারী। অটোরিকশাতে এমন নারীদের চাহিদামত স্থানে যাবে বলে উঠিয়ে নিতো। মাঝ রাস্তায় তারা শুরু করতো আসল কাজ। হঠাৎ অ‌টো‌রিকশা থেকে রাস্তায় ফেলে দিত হাতে থাকা মাল্টা। পরে ওই যাত্রীকে বলতো মাল্টা উঠাতে। মাল্টা উঠাতে গেলেই টান দিয়ে নিয়ে নিতো আগেই টার্গেট করা সোনার চেইন বা কানের দুল।

এতেও কাজ না হলে কৌশলে খাওয়াতো চেতনানাশক কোমল পানীয়। কোমল পানীয় পান করাতে ব্যর্থ হলে সরাসরি নাকে মলম লাগিয়ে সব কিছু লুটে নিত চক্রটি।

এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। শুধু স্বর্ণের চেইন বা কানের দুল নয়, তারা যে সময় সুযোগ পেত সে সময় সবই নিয়ে নিত। মলম লাগিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে এসব কাজ করতো। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর