ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে পুনর্নির্বাচন চেয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার উপস্থিত হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এ সংক্রান্ত আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।
হিরো আলম উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ. আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হিরো আলম পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। ১৭ জুলাই ভোটগ্রহণ করা হয়।
হিরো আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হয় নাই। সেদিন তারা জাল ভোট দিয়েছে। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে। ১২ থেকে ১৩ বছরের ছেলে-মেয়েরা ভোট দিচ্ছে। একটা মেয়ে ১০ থেকে ১৫টা ভোট দিয়েছে৷ তাদের জোড় করে ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছি। ফলাফল বাতিল চাই। পুনরায় নির্বাচনের জন্য এখানে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিতে। এ জন্য এখানে আপিল করলাম।’
এ ছাড়া এ আসনে বিজয়ী প্রার্থীর শপথ গ্রহণ স্থগিত রাখতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও স্পিকারকে অনুরোধ করেন হিরো আলম।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীপরিষদ ও স্পিকারকে অনুরোধ করব, আরাফাত ভাই যেন শপথ গ্রহণ করতে না পারেন।’
হিরো আলম বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে বিজিবির গাড়ির পাশে গেলাম, একটা লোকও নামে নাই। ডিএমপি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নাই দাবি করে হিরো আলম বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে তিনটা নির্বাচন করলাম। ১৮-তে নির্বাচন করে মার খেয়েছি। ২৩-এ বগুড়ায় উপনির্বাচনে মার খেলাম। এখানেও মার খেলাম। তাহলে এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে আশা করি বলেন?’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন বিকেলে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রের বাইরে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়।
হামলার একদিন পর তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় হিরো আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ করা হয়।