বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার বিএনএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইসিতে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ জুলাই, ২০২৩ ১৪:২৭

আইনজীবী আলী নাসের খান লিখিত অভিযোগে বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ‘বিএনএম’ সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী রিপোর্টে প্রতীয়মান হয়, দলটি একটি কার্যকর রাজনৈতিক দল নয়; বরং একটি ভূঁইফোড় অকার্যকর রাজনৈতিক সংগঠন।"

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাওয়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এক আইনজীবী।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের কাছে এ অভিযোগ জমা দেন আলী নাসের খান।

এ আইনজীবীর ভাষ্য, দলটির ২০ উপজেলার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এ কারণে তিনি জনস্বার্থে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

এর আগে নিবন্ধন পেতে যাওয়া আরেক দল বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ জমা দেন তার ছোট ভাই।

ইসির নিবন্ধন পেতে ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করলেও তিন দফার ছাঁকুনি শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২ দলের তালিকা প্রকাশ করে আউয়াল কমিশন। এরপর গত রোববার এক ডজন দল থেকে দুটির নাম প্রকাশ করে ইসি।

আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি আপত্তি জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা। দাবি আপত্তি শেষে দুই দলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন, তবে এর মধ্যেই দুটি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে।

আলী নাসের খান তার লিখিত অভিযোগে বলেন, “মাঠ পর্যায়ের যাচাই-বাছাইতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ‘বিএনএম’ দলটির ৮০টি উপজেলার তথ্য সম্পূর্ণ ঠিক পাওয়া গেছে এবং ২০টি উপজেলা/থানার সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ সঠিক পাওয়া যায়নি এ রকম উপজেলা ও থানাসমূহের ১০ শতাংশ, অর্থাৎ মাত্র দুটি উপজেলা (রাজশাহী জেলার বাগমারা ও পুঠিয়া উপজেলা) পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ ১৮টি উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ‘বিএনএম’-এর সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তা যাচাই-বাছাই না করেই কমিশন এই দলটিকে ‘সকল শর্ত পূরণ করেছে’ মর্মে নিবন্ধনের জন্য বাছাই করেছে। কমিশনের নিজের দেয়া তথ্য ও উপাত্ত অনুযায়ী এই স্ববিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ।

“আমি মনে করি এই ভুলের জন্য ভবিষ্যতে কমিশনকে মারাত্মক আইনি চ্যালেঞ্জ, এমনকি বিচারের মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। কমিশন যদি এ রকম ত্রুটি এবং বিভ্রান্তিকর পন্থার একটি দলকে নিবন্ধন প্রদান করে, তাহলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে দায়ী হতে পারেন, যা সংবিধান ও আইনের চরম লঙ্ঘন।’

এই আইনজীবী লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ‘বিএনএম’ সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী রিপোর্টে প্রতীয়মান হয়, দলটি একটি কার্যকর রাজনৈতিক দল নয়; বরং একটি ভূঁইফোড় অকার্যকর রাজনৈতিক সংগঠন।"

দলটিকে নিবন্ধন না দেয়ার দাবি তোলেন এ আইনজীবী।

২০০৮ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শামসুল হুদা কমিশন নবম সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪২।

নতুন দল যুক্ত পেলে দ্বাদশ ভোটের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর