রাজধানীর শাহজাহানপুরে যুবলীগ কর্মী অলি উল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ শনিবার বলেন, ‘শাহজাহানপুরে যুবলীগ নেতাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তাদের নাম আমরা পেয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত, যারা মোটরসাইকেলে এসে পাহারা দিয়েছে এবং যারা মেরে পালিয়েছে তাদের নাম, নম্বর আমরা পেয়েছি। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করব।’
এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এ হত্যায় জড়িত ৮-৯ জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার মোটিভসহ অন্যান্য বিষয় জানা গেছে। রোববার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
আটক হওয়াদের মধ্যে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়া ব্যক্তিও রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে রুবেলকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রুবেলকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় যুবলীগ। তবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘অলি উল্লাহ রুবেলকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়নি। কারণটি ভিন্ন। অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। আমরা আটককে দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করছি।’
বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মারা যান অলি উল্লাহ রুবেল। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের রাজনীতি করেন। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। এর আগে রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছিলেন।
রুবেলের স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে ডিবি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে অলিকে চারজন ব্যক্তি ধাওয়া করে মারতে দেখা গেছে।