কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইবির উপাচার্য কার্যালয়ের সভাকক্ষে শনিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা (সেশন ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন ২০২০-২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান।
প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘তাদের অপরাধগুলো তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করেছে। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পর্যালোচনা করে ছাত্রশৃঙ্খলার সভায় তা সবাইকে জানান। পরে ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সবার সিদ্ধান্তে তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেয়া হয়।
‘আগামী ১৯ তারিখের মধ্যেই আদেশটি হাইকোর্টে পাঠানো হবে। বহিষ্কার থাকা অবস্থায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্লাস, পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।’
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর, আইন প্রশাসক, ছাত্র-উপদেষ্টাসহ শৃঙ্খলা কমিটির অন্য সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফুলপরী।
তিনি অভিযোগ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নির্যাতন চালিয়েছেন। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, মারধর, গালাগাল, হত্যার হুমকিসহ অমানবিক নির্যাতন করেন।
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে চলে যান ওই শিক্ষার্থী।