বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবজির দাম কিছুটা কমলেও অন্য পণ্যের দাম চড়া

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:৪৬

অবশেষে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটি সবজির দাম কমলেও এখনো স্বস্তি ফেরেনি বাজারে। কারণ বেশিরভাগ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। এর সঙ্গে উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের মাছ। বিশেষ করে ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। শুধু কিছুটা স্বস্তি এসেছে ডিমের বাজারে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কমেছে। কিন্তু ক্রেতাদের ভাষ্য, সবজির দাম এখনো বেশি। বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় টমেটো ১২০-১৩০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১৪০-১৬০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০-১০০ টাকা, পটোল ৭০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০-২০০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০-৪০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৭০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০-৫০ টাকা, এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা করে।

গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজিতে ভারতীয় টমেটোর দাম ২০-৩০ টাকা, চায়না গাজরের দাম ২০ টাকা, লম্বা বেগুনের দাম ২০ টাকা, কালো গোল বেগুনের দাম ১০ টাকা, দেশি শসার দাম ২০ টাকা, করলার দাম ২০ টাকা, কাঁকরোলের দাম ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের দাম ২০ টাকা, চিচিঙ্গার দাম ১০ টাকা, ধুন্দলের দাম ২০ টাকা, হাইব্রিড শসার দাম ২০ টাকা কমেছে। আর প্রতি পিসে লাউয়ের দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম কমে যাওয়ার কথা জানিয়ে মিরপুর ৬ নাম্বার বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. জসিম বলেন, আজ সব সবজির দাম কমে গেছে। গেলো সপ্তাহের থেকে আজ দাম কম। সামনে হয়তো আরও কমে যাবে। কারণ, সিজন বদলাবে তাই দামও কমবে।

এদিকে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী তানভীর মাহমুদ বলেন, এ রকম কমাকে কম দাম বলে না। যখন সবার কাছে কম মনে হবে তখনই কম দাম বলা যাবে। দাম কমেছে ১০-২০ টাকা করে। কিন্তু সব সবজির দাম এখনও ৮০ টাকার ওপরে। এটাকে কি কম দাম বলে?

আরেক ক্রেতা কামরুল হাসান বলেন, সবজি-মাছ-মাংস সবকিছুর দাম বেশি। বেতন পাই কত টাকা আর খরচ কত টাকা; অন্যান্য খরচতো আছেই। এভাবে চলা সত্যিই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

আলু-পেঁয়াজের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি লাল ও সাদা আলু ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয় শুধু ২৫ টাকায়। আর বগুড়ার আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা।

গতকাল আকার ও মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হয়। এর মধ্যে ছোট পেঁয়াজ ৭৫ টাকা ও বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, লাল আলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩৫-৪০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, চায়না রসুন ১৪০-১৫০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৬০-১৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি মাছ-মাংসের বাজার। উচ্চ দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ, গরু ও খাসির মাংস এবং সব ধরনের মুরগির মাংস।

গতকাল বাজারে ইলিশ মাছ আকার ও ওজন অনুযায়ী ৭০০-২৪০০ টাকা, রুই ৩৫০-৬০০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৭০০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০-৬০০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৭০০ টাকা, শিং ৫০০-১২০০ টাকা, টেংরা ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে ৮০০-১২০০ টাকা, মেনি ৬০০-১০০০ টাকা, বোয়াল ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা ১০০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গরুর মাংস ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, কক মুরগি ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০-২৯৫ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫-১২০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা দরে।

এক্ষেত্রে আজ প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৭-১০ টাকা, কক মুরগির দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা করে। আর কেজিতে লেয়ার মুরগির দাম ২৫ টাকা, দেশি মুরগির দাম ২০ টাকা কমেছে। এছাড়া প্রতি ডজনে লাল ডিমের দাম ১০-২০ টাকা, সাদা ডিমের দাম পাঁচ টাকা এবং হাঁসের ডিমের দাম কমেছে ১০-২০ টাকা করে।

মুদি দোকানের কয়েকটি পণ্যের দামে পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে প্রতিটি দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ১০ টাকা এবং কেজিতে কালো গোল মরিচের দাম বেড়েছে ৮০ টাকা করে। আর প্রতি কেজিতে খেসারি ডালের দাম কমেছে ২০ টাকা, বুটের ডালের দাম কমেছে পাঁচ টাকা এবং খোলা চিনির দাম কমেছে পাঁচ টাকা করে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০৫ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০-১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ১০০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর