বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাওনাদারের ভয়ে বাবার মরদেহ ফেলে পালালো সন্তানরা

  • প্রতিনিধি, বাগেরহাট   
  • ১২ জুলাই, ২০২৩ ২০:০৫

শিক্ষক আজিজ মৃধার জানাজার সময় উপস্থিত হয়ে পাওনা টাকা দাবি করেন পাওনাদাররা। তা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত জানাজা পড়ানো যাবে না বলেও জানান তারা। এসময় মরদেহ ফেলে কৌশলে পালিয়ে যান আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানরা।

জানাজার পরও মরদেহ দাফন না করে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ফেলে রাখা হলো মসজিদের অজুখানার পাশে। এসময় স্বজনদের মরদেহের পাশে থাকার কথা থাকলেও পাওনাদারের ভয়ে নিজের স্ত্রী-সন্তানরাই ফেলে রেখে পালিয়েছে বলে জানা যায়।

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল আজিজ মৃধা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। চাকুরিরত অবস্থায় টাকা-পয়সা ও সম্পদের কমতি ছিল না তার। সম্প্রতি অবসর নেয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭০ বছর বয়সী এ শিক্ষক। ধীরে ধীরে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত ২ বছর শয্যাশায়ী থেকে মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে রায়েন্দা বাজারস্থ পাঁচরাস্তা এলাকায় নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

দুই বিয়ে করা আজিজের মৃত্যুর পর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা তাদের বাড়িতে বাবার মরদেহ দাফন করার দাবি করলেও দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানরা তাদেরকে তাড়িয়ে দেন।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে তার দাফন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে তার কবরও খোড়া হয়। কিন্তু জানাজার সময় ঘটে বিপত্তি।

তিনি বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা ধার নেন বলে এসময় জানা যায়। সেসব পাওনাদাররা জানাজার সময় উপস্থিত হন। এসময় তারা পাওনা টাকা দাবি করেন এবং তা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত জানাজা পড়ানো যাবে না বলে জানান। পাওনাদাররা টাকা চাওয়ায় মরদেহ ফেলে কৌশলে পালিয়ে যান আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানরা।

বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা তার মরদেহ পড়েছিল মসজিদের অজুখানার পাশে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুর আড়াইটার দিকে জানাজা শেষে দাফন করা হয় তার মরদেহ।

উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিদের্শনা অনুযায়ী পরিবারের লোক ও পাওনাদারদের সঙ্গে আলোচনা করে মরদেহের জানাজা সম্পন্ন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আজিজুর মৃধার প্রথম সংসারের বড় ছেলে মতিয়ার রহমানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানদের কাছ থেকে আত্মসাতকৃত জমি ও অর্থ উদ্ধার করে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর