বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, ‘এরপরও নির্বাচন করতে গেলে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।’
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা এ কথা বলেছেন। বেলা দুইটার দিকে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা অনেক পরে শুরু হয়।
সমাবেশে ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না’ দাবি করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এবারের নির্বাচন প্রতিহত করব।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই নির্বাচন হবে’ জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন ফারুক এসময় বলেন, ‘এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যেতেই হবে।’
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। তবে সেই নির্বাচন আপনার মতো শেয়ালের হাতে হোক, তা চাই না। আপনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচন বারবার গিলে খেয়েছেন।’
‘২০১৪ সালে খেয়েছেন, ২০১৮ সালে একবার খেয়েছেন, আবারও খেতে চাইছেন। সেই সুযোগ আর দেয়া হবে না।’
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, ‘আজকের সমাবেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে।’
বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ১৭ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে এসময় বরকতউল্লাহ বলেন, এ জন্য আপনাদের বিচার হবে।’
‘দেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার’ অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।’