বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাবি না মানলে জ্বালানি তেল উত্তোলন পরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি

  • প্রতিনিধি, খুলনা   
  • ৯ জুলাই, ২০২৩ ১৪:১২

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘উত্থাপিত দাবিসমূহ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সকল জ্বালানি ব্যবসায়ী জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহনে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’

জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা এবং কমিশন এজেন্টের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশের দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

এসব দাবি না মানলে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্যাংকলরি ও পেট্রল পাম্পের মালিকরা।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভবনে সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস্ অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি এ ব্যবসার ওপর কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে বিভিন্ন রকম ট্যাক্স, লাইসেন্স, ছাড়পত্র, যেমন: পেট্রোল পাম্প কোনোভাবেই কল-কারখানার আওতায় পড়ে না। ফিলিং স্টেশনসমূহ ডিজেল, পেট্রল, অকটেন তেল কোম্পানি থেকে উত্তোলনপূর্বক বিক্রয় করা হয়ে থাকে। ফিলিং স্টেশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয়, অথচ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহনের জন্য ফিলিং স্টেশনসমূহকে চাপ প্রয়োগ করছে। যেহেতু ফিলিং স্টেশন কলকারখানা নয়, সেহেতু ফিলিং স্টেশন থেকে পরিবেশ দুষণ হওয়ার সুযোগ নেই। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিং স্টেশনসমূহকে চাপ প্রয়োগ করছে।

‘ফিলিং স্টেশনের প্রবেশদ্বারে সড়ক ও জনপথের জায়গা ব্যবহারের জন্য সড়ক ও জনপথ ফিলিং স্টেশনসমূহকে জমির ইজারা গ্রহণের চাপ প্রয়োগ করছে। অথচ ফিলিং স্টেশন থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহকারী সকল গাড়ির রুট পারমিট রয়েছে। এমনকি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরিরও রুট-পারমিট রয়েছে। ফিলিং স্টেশনের জ্বালানি স্টোরেজ ট্যাংক বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক, যা ভূগর্ভে স্থাপিত। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক কোনো পরিমাপ যন্ত্র নয়। তা ছাড়া এটা ভোক্তাদের স্বার্থের সাথে কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয় এবং যা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার সুযোগ নাই। অথচ বিএসটিআই উক্ত আন্ডারসাউন্ড ট্যাংক প্রতি বছর ক্যালিব্রেশন করার জন্য ফিলিং স্টেশনসমূহকে চাপ প্রয়োগ করছে।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি সংস্থা লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফিলিং স্টেশনসমূহকে যে চাপ সৃষ্টি করছে, তাতে অচিরেই এ ব্যবসাটি কঠিন সংকটে নিপতিত হবে। তাই আমরা মনে করি জ্বালানি ও ট্যাংকলরি ব্যবসার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব ঠিক রাখতে হলে অচিরেই আমাদের উল্লেখিত বিষয়গুলোর একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত।’

ফরহাদ আরও বলেন, ‘উত্থাপিত দাবিসমূহ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সকল জ্বালানি ব্যবসায়ী জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহনে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ এম মাহবুব আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিরাউল ইসলাম, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ আব্দুল গফফার বিশ্বাস, সহসভাপতি আলহাজ মোড়ল আব্দুস সোবাহান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, রফিকুল ইসলাম নন্টু, কামাল হোসেনসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর