বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিয়ের দাওয়াত না পেয়ে পিকনিক, আ.লীগে সংঘর্ষ

  • প্রতিনিধি, ফরিদপুর   
  • ৮ জুলাই, ২০২৩ ১৮:৩৩

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গুনবহা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুর হোসেন গত ২ জুলাই মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়েতে বর্তমান সভাপতি সাহেব আলী ও তার অনুসারীদের দাওয়াত না দেয়ায় তিনি নিজের লোকজন নিয়ে বিয়ের দিন পিকনিক করেন। এর জেরে শুক্রবার বিকেলে মঞ্জু মেম্বারের লোকজনকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে শনিবার সকালে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।

প্রতিপক্ষকে মেয়ের বিয়ের দাওয়াত না দেয়ার জেরে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শনিবার সকালে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটানায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গুনবহা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সাহেব আলী ও সাবেক সভাপতি মঞ্জুর হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে গত ২ জুলাই মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়েতে সাহেব আলী মেম্বার ও তার অনুসারীদের দাওয়াত না দেয়ায় তিনি নিজের লোকজন নিয়ে বিয়ের দিন পিকনিক করেন। এর জেরে শুক্রবার বিকেলে মঞ্জু মেম্বারের লোকজনকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে শনিবার সকালে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।

আহতদের মধ্যে মঞ্জু মেম্বারকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার পক্ষের ৫০ বছর বয়ষী আনোয়ার, ৪৫ বছর বয়সী ওবায়দুল, ৩৫ বছর বয়সী ইমরুল ও ৪৮ বছর বয়সী মিঠুন মোল্যাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সাহেব আলী মেম্বারের লোকজনকে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাকিদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সাহেব আলী মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার অবস্থা ভালো নয়। আমার শরীরে তিন-চারটি কোপ আছে, পেটানোর জখমও আছে। মহম্মদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন মাগুরায় আছি।’

ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। রাতে আর কিছু ঘটেনি। সকালে আমি রাস্তায় বের হয়ে দেখি মঞ্জু ও বাকিয়ারের সঙ্গের লোকজন ঢাল-সড়কি নিয়ে আসছে। আমি পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তারা এসেই আমার ওপর হামলা করে। তারপর আর কী কী হয়েছে আমি জানিনা।’

মঞ্জু মেম্বার গ্রুপের জিয়াউর রহমান বলেন, ‘মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় সাহেব আলী ও তার লোকজন ঝামেলা পাকাচ্ছিল। শুক্রবার ভেন্নাতলার হাটে গেলে আমাদের লোকজনকে তারা মারধর করে। শনিবার সকালে তারা দল ধরে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মঞ্জু মেম্বার মারাত্বক আহত হয়েছে।’

বোয়ালমারী থানার ওসি আব্দুল ওহাব বলেন, ‘সাহেব আলী ও মঞ্জু মেম্বার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়েতে সাহেব আলীকে দাওয়াত না দিলে তারা সেদিন পিকনিক করেন। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে শুক্রবার বিকেলে ঝামেলা হয়। শনিবার সকালে আবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

দু’জন আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর