বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারখানায় ডাকাতি: পড়ে রইল শুধু পুলিশ-বিজিবির পোশাক

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ফ্যাক্টরিটির মালিক আবুল কালাম আজাদ পুলিশ ও বিজিবির কাছে পোশাক বিক্রি করতেন। তবে পুলিশ ও বিজিবির কোনো মালামাল ডাকাতরা নেয়নি।’

রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় রাতভর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ফ্যাক্টরিতে অন্যান্য পোশাকের পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবির পোশাক তৈরি হতো। তবে আইন-শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক বাদে বাকি সব লুটে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

এ ঘটনায় এক নারী ও সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া মালামালসহ দুটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ডাকাত সর্দার হামিদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম ওরফে রাজু, জাহিদ মিয়া, মনিরুল ইসলাম ওরফে রতন ড্রাইভার, আজিজুল হক ওরফে আজিজ ড্রাইভার, ইসরাফিল, সজল মিয়া ও রাশিদা বেগম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ সুপার বলেন, ‘গত দুই জুলাই রাত পৌনে একটার দিকে একদল সশস্ত্র ডাকাত কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া নিশানবাড়ি এলাকায় অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ডাকাতি করে। দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড কারখানার গেটে তালা লাগানোর সময় ৪-৫ জন সশস্ত্র ডাকাত সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে। ডাকাতরা সেসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে একজন নিরাপত্তা প্রহরীর তিনটি আঙুল কেটে ফেলে।

‘ডাকাতদল নাইট গার্ডদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। পরে কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীকে বিবস্ত্র করে এলোপাথাড়ি মারপিট করে এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে।’

তিনি বলেন, ‘এরপর ডাকাতদলের আরও ৮-১০ জন সদস্য দুটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে কারখানার ভেতরে থাকা মূল্যবান কম্বল, কোটিং ফেব্রিক্স, রেইনকোট ফেব্রিক্স, মেস কাপড়, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যানসহ যাবতীয় মালামাল ভ্যানে ওঠায়। তারপর সিকিউরিটি গার্ডদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

‘এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন ফ্যাক্টরির মালিক। মামলার পর পুলিশের অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জানা যায়, ডাকাতির মালামাল বিক্রয়ের জন্য এখনও অধরা মোশাররফ নামের পলাতক আসামির গুদামে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে মোশাররফের স্ত্রী রাশিদার স্বীকারোক্তির পর ওই গুদাম থেকে ডাকাতির সকল মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামিরা সবাই আন্তঃজেলা ফ্যাক্টরি ডাকাতচক্রের সক্রিয় সদস্য। ছদ্মবেশে তারা ঢাকার আশেপাশের নির্জন এলাকার বিভিন্ন ফ্যাক্টরির মালামাল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেকি করে। যেসব ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা ব্যবস্থায দুর্বল, সেগুলোকে টার্গেট করে তারা ডাকাতি করে।’

এ ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও হোতাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

গ্রেপ্তারকৃত নারী সম্পর্কে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই নারীর বাসা থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মালামালগুলো কিভাবে কিনেছেন, কোনো মানি রিসিট আছে কিনা, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘ফ্যাক্টরিটির মালিক আবুল কালাম আজাদ পুলিশ ও বিজিবির কাছে পোশাক বিক্রি করতেন। তবে পুলিশ ও বিজিবির কোনো মালামাল ডাকাতরা নেয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর