গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা সময়সীমা নির্ধারণের এখতিয়ার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ‘সরকারের সময় শেষ’ বক্তব্যের জবাবে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার (ফখরুল) বক্তব্য শুধু অসাংবিধানিকই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলকও বটে। সরকারের সময় নির্ধারণ করে দেয়ার তিনি (ফখরুল) কে?’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে গণতন্ত্রবিরোধী ও ষড়যন্ত্র নির্ভর রাজনৈতিক দল। তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদ শেষে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।’
‘ক্ষমতা দখলে বেপরোয়া বিএনপি বিদেশি প্রভুদের করুণা লাভের আশায় মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের বিদেশি প্রভুরা নির্বাচন নিয়ে কী বলবে সেদিকে তারা মুখিয়ে থাকে। ক্রমাগতভাবে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে দেশের জনগণের ওপর বিএনপি বিশ্বাস হারিয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি প্রভুদের দ্বারা মদদপুষ্ট হয়ে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করছে। এ জন্য বিএনপি কখনই জনকল্যাণের নীতি গ্রহণ করতে পারেনি এবং জনগণও তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। বিএনপি ভোট চুরির নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। বিএনপির আমলে পরিচালিত অপশাসন ও দুর্নীতির কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির আমলের সেই অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না। দেশের জনগণ তাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বার বার শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে নিরাপদ মনে করেছে। উন্নয়ন অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দেবে।’