হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ও নার্সদের ঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন জণগণ সেবা না পেলে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দেশের সকল জেলার সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন ‘দেশের সব সরকারি হাসপাতালের নার্সদের ঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। হাসপাতালে কর্মরত কর্মীদের নিজ নিজ কাজে অবহেলার জন্যই হাসপাতাল পরিপূর্ণ পরিচ্ছন্ন হচ্ছে না; দালালদের দৌড়াত্ব কমানো যাচ্ছে না। ফলে হাসপাতালের সেবার মানও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের কর্মচারী ও নার্সদের অবহেলার কারণেই রোগীরা সঙ্গে করে একাধিক অ্যাটেন্ড্যান্ট আনছেন ও তাদের সঙ্গে হাসপাতালে রাখছেন। সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সরকারি সেবা পাবে না, এটা চলতে পারে না। হাসপাতালে যার যা ডিউটি তাকে সেটিই করতে হবে। তা না হলে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে রোগী কম বা বেশি যাই থাকুক। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে সেবামূলক কাজের মান আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, কীভাবে হাসপাতালগুলো মানসম্পন্ন ও পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, কর্মচারী ও নার্সদের ডিউটি বাড়িয়ে দিয়ে কীভাবে রোগীর সঙ্গে অতিরিক্ত ভিজিটর কমানো যায়, নার্স ও ডাক্তারদের চলমান ডিউটি কতটা কার্যকর হচ্ছে- এ বিষয়গুলো নিয়ে উপস্থিত ও জুম লাইভে যুক্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিদিন সারা দেশে অন্তত ১০ লাখ সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসে। এদের সেবা দিতে জেলা শহর থেকে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালও করা হয়েছে। লোকবল আমাদের ঘাটতি আছে ঠিকই, তবে আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে সেটি দিয়েই দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।’
কর্মশালায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সিভিল সার্জন্স ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।