ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জ্বালানি তেলবাহী ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ নামের জাহাজে (ট্যাংকারে) বিস্ফোরণের ঘটনায় মাস্টারসহ পাঁচ কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ দগ্ধ চারজনকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল এবং পরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণ হওয়া ট্যাংকারের নিমজ্জিত অংশ শনাক্ত করা হয়েছে। সেটি উত্তোলনের প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে সন্ধানকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
রাতভর তেল অপসারণ
বিস্ফোরণের শিকার জাহাজটি থেকে শনিবার রাতভর যৌথভাবে তেল অপসারণের কাজ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড।
পেছনের অংশে বিস্ফোরণের কারণে তলা ফেটে জাহাজটি ধীরে ধীরে নিমজ্জিত হচ্ছিল। দ্রুত তেল অপসারণের কাজ শুরু করায় ডুবন্ত জাহাজটি কিছুটা ভেসে ওঠে। শনিবার রাত ৩টার পর তেল সরানোর কাজ স্থগিত করে সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ৪ লাখ লিটার পেট্রল ও ডিজেল অপসারণ করা হয়।
এর আগে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে সন্ধ্যা ৬টায় দুটি ছোট ট্যাংকারে (‘মৃদুলা-১’ ও ‘মৃদুলা-৫’) তেল সরানোর কাজ শুরু হয়। রাত ১০টায় তেল সরাতে যুক্ত হয় আরেকটি জাহাজ।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির ঝালকাঠি ডিপো সুপার হোসেন আহম্মেদ জানান, নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে অত্যাধুনিক তেল অপসরণকারী ল্যামোর সংযুক্ত বোট দিয়ে রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করে কোস্ট গার্ড। এ সময়ের মধ্যে ৪ লাখ লিটার জ্বালানি তেল অপসারণ করা হয়। জাহাজটিতে এখনও ৭ লাখ লিটার পেট্রল ও ডিজেল রয়েছে।
জাহাজটি ৪ দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে পেট্রল ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠিতে আসে, কিন্তু কোরবানির ছুটির কারণে তা ডিপোতে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। শনিবার বিকেলে জাহাজ থেকে জ্বালানি পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে সরবরাহের কথা ছিল। এর আগেই এতে বিস্ফোরণ ঘটে।
দুর্ঘটনার সময় ঝালকাঠি ডিপোর কাছেই সুগন্ধা নদীতে নোঙর করা ছিল ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’।