বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হলি আর্টিজান হামলার ৭ বছর আজ

নৃশংস সে হামলায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা দেশ। সেদিন জঙ্গিদের হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হয়। জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি।

দেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ হঙ্গি হামলার সাত বছর পূর্ণ হয়েছে আজ ১ জুলাই। ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশান-২-এর লেক পাড়ের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে ভয়াবহ এক জঙ্গি হামলা। সেদিন রাত ৮টা ৪০ মিনিট থেকে ক্যাফেটি ১২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে নারকীয় এক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে জঙ্গিরা।

নৃশংস সে হামলায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা দেশ। সেদিন জঙ্গিদের হামলায় বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হয়। জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি।

নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং দুইজন বাংলাদেশি ছিল।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করে। তবে দেশে সংগঠনটির উপস্থিতি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে সরকার।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর একটি বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল হামলায় জড়িত থাকায় ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং একজন খালাস পান।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মামলায় সাতজনের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) এবং আসামিদের আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসা‌মিরা হ‌লেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পান।

ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেয় তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয় যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। সে অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

দেশের ই‌তিহাসে অন্যতম নৃশংস এ হামলায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ হারান বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম।

হামলার পর জিম্মি অবস্থার অবসানে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। তারা হলো- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে নব্য জেএমবির আরও ৮ সদস্য। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার এসআই রিপন কুমার দাস। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। মামলাটি এখনও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

এ বিভাগের আরো খবর