বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিকেল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ

  • প্রতিনিধি, গাজীপুর   
  • ২৬ জুন, ২০২৩ ২০:১২

সোমবার বিকেলে বিভিন্ন পোশাক ও কল-কারখানার শ্রমিকরা নিজেদের গন্তব্যে যেতে শুরু করলে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে ভোগরা বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার ও গাজীপুরা এলাকায় যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল সোমবার। এদিন সকালে ঈদযাত্রায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও ছিল না কোনো যানজট। কোথাও কোথাও খানাখন্দ ও সরু লেনের কারণে যানবাহনের গতি ধীর হলেও তেমন যানজট চোখে পড়েনি। তাই যারা সকালে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন, তারা স্বস্তিতেই এ মহাসড়ক পাড়ি দিয়েছেন।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ, বিকেল নাগাদ যা ভোগরা বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজটে রূপ নেয়। বিকেলে অফিস ও শিল্প-কারখানা ছুটির পর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বাস কাউন্টারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়ে হিমশিম খেতে হয় পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মহানগরের আওতাধীন মহাসড়ক তিনটি সেক্টরে ভাগ করে অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য মোতায়েন করেছে প্রসাশন। বৃষ্টি হলে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় বিকল্প ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে।

এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ৩২টি জেলার মানুষের রাজধানী ও গাজীপুরে প্রবেশেদ্বার হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। ফলে এই মহাসড়কে প্রতিদিন লাখ লাখ পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে এ সময়ে যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। কয়েক বছর ধরে এই মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্প চলমান থাকায় দুর্ভোগ মাত্রা বেড়েছে।

সোমবার দিনভর গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের কিছু অংশে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলায় কোথাও এক সারিতে কোথাও দুই সারিতে গাড়ি চলছে। আবার কোথাও খানা-খন্দের কারণে যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে টঙ্গীর মিলগেইট থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দের কারণে যানবাহনের ধীরগতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এছাড়াও সড়কের অনেক স্থানে যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করার কারণে অন্য যানবাহনের গতি কমে যেতে দেখা গেছে। যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হাউজবিল্ডিং থেকে টঙ্গীর কলেজগেইট পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ দিয়ে চলাচল না করে যাত্রীবাহী অনেক বাস নিচ দিয়ে যাচ্ছে। এতে নিচের সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে দেখা গেছে। তবে কোথাও যানজট চোখে পড়েনি।

তবে বিকেলে বিভিন্ন পোশাক ও কল-কারখানার শ্রমিকরা নিজেদের গন্তব্যে যেতে শুরু করলে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে ভোগরা বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার ও গাজীপুরা এলাকায় যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়।

এদিকে, মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী পশুর হাটের কারণে শেষমুহূর্তে যানজট ও মানুষের ভোগান্তি হতে পারে বলে মনে করছেন চালক-যাত্রীরা। গাজীপুর মহানগরীর মধ্যে এ বছর অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে ১৭টি। এর মধ্যে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বসা মালেকের বাড়ি, বোর্ডবাজার, গাজীপুরা ও টঙ্গী রোডে অবস্থিত পশুর হাটগুলো।

ময়মনসিংহগামী সৌখিন এক্সপ্রেস পরিবহনের চালক সুজন মিয়া বলেন, ‘মহাসড়কের চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতুর কাজ চলছে। সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে তেমন যানজট ছিল না। তবে ফেরার পথে ঢাকায় প্রবেশে যানজটে পড়তে হয়েছে।’

এনা পরিবহনের চালক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বিকেলে বৃষ্টি হয়েছে, পাশাপাশি যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাদা জমে গেছে। তাই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজট সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার যাত্রী ও যানবাহন বাড়বে।’

বৃষ্টি হলে সড়কে যানজট ও ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মহাসড়কে যানজট নিরসনে তিন শিফটে পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছে। চালকেরা সচেতন থাকলে, যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানো-নামানো না করলে যানজট অনেকটা কমে যায়। যে ফ্লাইওভারগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করলেও যানজটে পড়তে হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে। তবে বৃষ্টি হলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জিং হবে। মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে পানি জমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবুও আমরা বিআরটি প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের জন্য মোটরের ব্যবস্থা রেখেছি। ’

এছাড়াও সড়কে বিকল হয়ে পড়া গাড়ি ও অবৈধভাবে মহাসড়কে পার্কিং করা গাড়ি সরিয়ে নেয়ার জন্য ৮টি রেকার থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর