কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান নাথান বম জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজকে দলবলসহ আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান।
এর আগে শুক্রবার রাতে রাজধানী থেকে মোস্ট ওয়ান্টেড শামিন মাহফুজ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের করে সিটিটিসি।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যখন এই সংগঠনের ক্যাম্পের সন্ধান পাই এবং আমাদের ইউনিট নিয়ে ক্যাম্পে অভিযানের সিদ্ধান্ত নিই। প্রথমে জঙ্গি সংগঠন ও কুকি-চিন এই অভিযানের কথা কোনোভাবে টের পেয়ে যায়।
‘গতকাল শামিন মাহফুজের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেছি। সেই মোবাইল থেকে একটা গোপন কনভারসেশন শুরা কমিটি ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, যার সঙ্গে নাথান বমও কানেক্টেড ছিল।’
তিনি জানান, মোবাইলের কনভারসেশনে দেখা যায়, হিন্দাল শারক্বীয়ার দ্বিতীয় আমির, শুরা কমিটির সদস্যের পাশাপাশি দলবল নিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য শামিন মাহফুজকে প্রস্তাব দেন নাথান বম। শামিন সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। তারই নির্দেশে বিভিন্ন সময় অভিযানে সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন ও কেএনএফ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিল।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, “শামিন মাহফুজ নির্দেশ দিয়েছিলেন, যুদ্ধ হবে আক্রমণাত্মক; রক্ষণাত্মক নয়। কোট করে বলতে গেলে, ‘শামিন মাহফুজ বলেছিল, ওরা আক্রমণ করলে ওদের এমন ধাওয়া করবে যেন একটাও পালিয়ে না বাঁচতে পারে। যুদ্ধ হবে আক্রমণাত্মক। রক্ষণাত্মক নয়।’ এই নির্দেশনায় তারা আত্মসমর্পণ থেকে ফিরে আসে।”
তিনি আরও জানান, হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের মধ্যে যারা ‘হিজরত’ করেছিলেন, তাদের অধিকাংশকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।