রাজকীয় ভঙ্গি ও চিত্তাকর্ষক বর্ণের পাখি ম্যাকাও। অনেক ম্যাকাওপ্রেমীর মতো নজরুল ইসলামও পাখিটির প্রেমে পড়েন ২০১২ সালে। ওই বছর ভারত থেকে ছয় মাস বয়সী এক ম্যাকাওকে দেশে নিয়ে আসেন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওড়া গ্রামের এ বাসিন্দা। সেই থেকে ১১ বছর ধরে আনসার কমান্ডারের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে পাখিটি, আদর করে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘সাল্লু’।
শখের বশে নানা প্রাণী পোষা নজরুল জানান, তিনি জাপানি শেপার্ড কুকুর, ঘোড়া, টাইগার মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণী পুষতেন। খামার করার ইচ্ছা থাকলেও সাংসারিক ও পেশাগত ব্যস্ততায় তা আর হয়ে ওঠেনি।
আনসার কমান্ডারের ভাষ্য, ভারত থেকে ম্যাকাওটি কিনতে গুনতে হয়েছিল পৌনে ২ লাখ টাকা। কুমিল্লায় ধীরে ধীরে বড় হয় পাখিটি। তারপর একদিন একে ছেড়েও দিয়েছিলেন, কিন্তু মালিকের প্রতি মায়া জন্মে যায় ম্যাকাওয়ের। স্বাধীনতা পেয়েও সে ফিরে আসে।
যেভাবে লালনপালন
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাকাও আপেল খায়। নুডুলস, ভাত ও ডাল খায়, তবে বাসি কোনো খাবার খায় না। মুড খারাপ থাকলে খাবারদাবার খায় না।
‘কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। তারপর স্বাভাবিক সব খাবার খায়।’
ম্যাকাওয়ের সঙ্গী নেই কেন জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘ম্যাকাও অনেক দামি পাখি। সাল্লুকে কিনেছি অনেক কষ্টে। আরেকটি কিনতে গেলে অনেক টাকা দরকার। তাই আর চেষ্টা করি নাই।’
পাখিটি টিয়া পরিবারভুক্ত
ম্যাকাওয়ের বিষয়ে কথা হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রইছ উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃতিতে ম্যাকাও নেই, তবে চিড়িয়াখানা দেখা যায়। কেউ আবার শখের বসে পাখিটি পালন করেন।’
তিনি জানান, ম্যাকাও টিয়া পরিবারভুক্ত। নজরুলের কাছে থাকা ম্যাকাওয়ের বৈজ্ঞানিক নাম Ara ararauna। অন্যান্য ম্যাকাওয়ের মতো এটিও পোষ মানে।