বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিকারির গুলিতে আরেক শিকারির মৃত্যু

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ২৩ জুন, ২০২৩ ২৩:৫৩

ইউপি সদস্য আল মইনুদ্দিন বলেন, ‘বনের ভেতর দুজন অস্ত্র নিয়ে শূকরের অপেক্ষায় ছিলেন। পেছন থেকে অন্যরা বন্যপ্রাণি ধাওয়া করছিলেন। এর মধ্যে বনের ভেতর নড়াচড়া দেখে শিকার ভেবে গুলি ছোড়েন নাছির নামের এক শিকারি। দলের সদস্য সঞ্জয় তুরির পাঁজরের নিচে দুটি গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হাজারিখিল অভয়ারণ্যে শিকারির গুলিতে আরেক শিকারির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের মায়ের দায়ের করা মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার ও দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে অস্ত্রধারী দুজনের ৫ দিন রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে হাজির করে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

এর আগে বুধবার বিকেলে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে হাজারিখিল অভয়ারণ্যের আওতায় থাকা লট সুজানগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শিকারির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

নিহত সঞ্জয় তুরী লট ১৩ সুজানগর এলাকার অমিত্র তুরির ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন- বাবুল মাঝি, জয় মাঝি, সুনীল মাঝি, প্রবাস গোয়ালা, মোহন মাঝি, অরুণ গোয়ালা, মানিক তুরি, যতন তুরি, সুশীল কর্মকার, কাজল কর্মকার ও দিবাস ওরং।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আল মইনুদ্দিন জানান, স্থানীয় চা বাগানের শ্রমিকরা মাঝেমধ্যেই ওই এলাকা থেকে হরিণ ও শূকর শিকার করেন। বরাবরের মতো বুধবার বিকেলেও ২০ থেকে ২২ জন মিলে লট সুজানগর এলাকায় শিকারে যান।

বন্যপ্রাণী শিকারের সময় তারা সাধারণত দুটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করেন। এক দলের হাতে অস্ত্র থাকে। তারা বনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে। একই সময়ে পেছন থেকে অন্যরা শিকার ধাওয়া করে অস্ত্রধারীদের দিকে নিয়ে যায়। তখন অস্ত্র নিয়ে অপেক্ষায় থাকা শিকারিরা শিকারকে গুলি করেন।

আল মইনুদ্দিন বলেন, ‘বুধবার বনের ভেতর দুজন অস্ত্র নিয়ে শূকরের অপেক্ষায় ছিলেন। পেছন থেকে অন্যরা বন্যপ্রাণি ধাওয়া করছিলেন। কিন্তু শিকার অন্যদিকে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে বনের ভেতর নড়াচড়া দেখে শিকার ভেবে গুলি ছোড়েন নাছির নামের এক শিকারি। এ সময় শিকারি দলের সদস্য সঞ্জয় তুরির পাঁজরের নিচে দুটি গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’

এই ঘটনায় পরদিন নিহত সঞ্জয় তুরির মা মাধুরী তুরি ভূজপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাছিরকে এজহারনামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়।

ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর হারুয়ালছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাবুল মাঝি ও সুনীল মাঝি নামে দুজনের কাছে দুটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।

‘গ্রেপ্তার সবাইকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে বাবুল ও সুনীলের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি আমরা। বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছে আদালত।’

এদিকে ঘটনা সম্পর্কে কিছুই অবগত নন বলে জানান বন বিভাগের হাজারিখিল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তারিকুর রহমান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল হাজারিখিল অভয়ারণ্যের আওতায় নয়। এটি লট সুজানগর বারমাসিয়া বিটের অধীনে। ওই এলাকায় মাঝেমধ্যে শিকারের ঘটনার কথা আমরা শুনেছি।

‘সম্প্রতি ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি শূকর ও একটি হরিণ শিকারের দায়ে ৩ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছি আমরা।’

এ বিভাগের আরো খবর