টানা দ্বিতীয়বার এবং মোট তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বুধবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটের জয়ী হয়ে রাজশাহীর নগরপিতা হয়েছেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। পরে সরকারি ফলেও তার জয় নিশ্চিত হয়।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। পরে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনার সঙ্গে সঙ্গে ফল ঘোষণা হতে থাকে। প্রথম থেকেই ফলাফলে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী লিটনের এগিয়ে থাকার আভাস পাওয়া যায়।
সিটি নির্বাচনের ১৫৫ কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের চুড়ান্ত সরকারি ফলাফল শেষে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লিটন এক লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবারের নির্বাচনে মেয়র পদে জাকের পার্টির অ্যাডভোকেট লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট। এছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছে দশ হাজার ২৭২ ভোট।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম নানান অভিযোগ তুলে গত ১২ জুন নির্বাচন বর্জন করেলেও প্রতীক থেকেই গেছে। তার ব্যালটে পড়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৪৮৪ ভোট।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে লিটন ২০০৮ সালে প্রথমবার রাজশাহী সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার নগরপ্রধানের আসনে বসেন তিনি।
রাজশাহী সিটিতে এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ছয়জন। এবার নতুন ভোটার ছিলেন ৩১ হাজার ২২৩ জন।