চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্বল্পমূল্যের ডায়ালাইসিস সেবা ফের বন্ধ হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে চমেক হাসপাতালের স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সেন্টারে সেবাটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড। বুধবার এক নোটিশে এ ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
নোটিশে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে পাওনা আদায়ে বারবার আবেদন করেও কাজ হয়নি। এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) ফরিদা ইয়াসমিনকে দায়ী করে নোটিশে তার নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করে সেবা বন্ধ বা চালুর ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়।
আরও বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেবা প্রদান সম্ভব নয়। এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেবা চালু রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘সেবা বন্ধ হলে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। এটা সমাধানে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’
সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে স্যান্ডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিস নামের ভারতীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দিয়ে থাকে। সরকার ভর্তুকি দেয়ায় স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষ সেবাটি পায়।
সাধারণত প্রতিদিন ১০০ রোগী ডায়ালাইসিস সেবা নিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন। একজন রোগীকে প্রতি সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। মাসে একজন রোগীকে আটবার এ সেবা নিতে হয়।
নানা জটিলতায় গত দুই বছরে চমেক হাসপাতালে বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়েছে ডায়ালাইসিস সেবা। এর মধ্যে গত জানুয়ারিতে ডায়ালাইসিস সেবার মূল্যবৃদ্ধি হলে আন্দোলনে নামেন রোগীর স্বজনরা। সেই আন্দোলনে পুলিশি হামলার ঘটনাও ঘটে।