বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গুম করা হয়েছে ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। এ এক ভয়াবহ অবস্থা, দেশে ভিন্নমত পোষণের সুযোগ নেই।’
রাজধানীর গুলশানে এক রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের প্রধান সংকট হলো, গণতন্ত্র না থাকা। এ সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ১০ বছরে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। আবারও তারা ভোট চুরির নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।
‘উদ্ভূত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা বলেছি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবিও জানিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই এখন বিএনপির লক্ষ্য।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়, সেসব রাজনৈতিক দল এক হয়ে আজ যুগপৎ আন্দোলন করছে।
‘আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এখানে বিএনপি ক্ষমতা নিতে চায়- কথাটি মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে দেশের মানুষের অধিকারকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যে স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, যে প্রতিশ্রুতি আমরা জনগণকে দিয়েছিলাম তা পূরণ করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।
সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, শায়রুল কবির খান এবং ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মো. নেছারুল হক।