বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশিদের কাছে যাই না, মাঝেমধ্যে তারা ডাকে: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ জুন, ২০২৩ ১৮:২১

সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার আর মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না। রাখাল বালক আর বাঘের গল্প আমাদের মনে আছে। এবার আর রাখাল বালকের কথায় কেউ যাবে না। মানুষ রাজপথে দাঁড়িয়ে গেছে। ভোটের অধিকারের ফয়সালা রাজপথেই হবে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না: বিদেশিরাই মাঝেমধ্যে আমাদের ডাকেন। তারা জানতে চান যে দেশ কীভাবে চলছে, তোমরা (বিএনপি) কী বলতে চাও?’

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার দুপুরে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত নীতি হলো, তিনি বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। সুতরাং তারা তাদের কাজ করবেন। যেখানে গণতন্ত্র নেই, তাদের গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাকেন না তারা। আবার নিষেধাজ্ঞাও দেন।

‘তারা মনে করে, এখানে (বাংলাদেশ) জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ভোটের অধিকার দেয়া হচ্ছে না। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা কী করে গণতন্ত্র দেবে? তারা বার বার বলে যে নির্বাচন দিচ্ছে, কথা দিচ্ছে ভালো নির্বাচন হবে। কিন্তু মানুষ কী করে বিশ্বাস করবে যে তারা ভালো নির্বাচন দেবে? ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ কোনোদিন ভালো নির্বাচন করেছে? করেনি।’

আওয়ামী লীগ ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনযাত্রার মান যদি উন্নত না হয়, খাদ্য যদি না থাকে, খাদ্যনিরাপত্তা যদি না থাকে, আয় যদি নিশ্চিত না হয়, সেটাকে উন্নয়ন বলা যায় কীভাবে? পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যায় গ্রেপ্তার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবু। যারা গোলাম রব্বানিকে পিটিয়ে মেরেছে তারাও আওয়ামী লীগের। এই বিষয়গুলো সাংবাদিকরা বলছেন, আমরাও বলছি। কিন্তু তাদের (সরকার) কানে যাচ্ছে না।’

‘আমরাও ভিসা নীতি তৈরি করবো’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর কী উত্তর দেব? আপনারাও ভিসা নীতি করেন, দেখি। মূল কথা হচ্ছে, জাতি চরম বিপদে আছে। এই পরিস্থিতি থেকে দেশ-জাতিকে উদ্ধার করতে হবে।’

সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার আর মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না। রাখাল বালক আর বাঘের গল্প আমাদের মনে আছে। এবার আর রাখাল বালকের কথায় কেউ যাবে না। মানুষ রাজপথে দাঁড়িয়ে গেছে। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। রাজপথে এর ফয়সালা হবে।’

বিএনপি কাউকে খাটো করে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাজউদ্দীন আহমদ, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কাউকেই স্মরণ করে না। আমি বলেছিলাম খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। এটা বলার পর আমার ওপর ঝড় উঠলো। খালেদা জিয়া যদি মুক্তিযোদ্ধা না হোন, তাহলে মুক্তিযোদ্ধা কে?’

জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ‘চিরভাস্বর শহীদ জিয়া, জ্যোতির্ময় খালেদা জিয়া, দীপ্তিমান তারেক রহমান’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি লিখেছেন এ কে এম মতিনুর রহমান ও আবুল হাসনাত মোহা. শামীম।

বইয়ে ‘২০১৪ সালের নির্বাচনী জনসভায় খালেদা জিয়া’- এমন ক্যাপশনে একটি ছবি ব্যবহারের সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে তো বিএনপি নির্বাচনেই যায়নি। এটা নির্বাচনী জনসভা হতে পারে না। এটা জনসভা হতে পারে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাজমেরী এস ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর