নিউজবাংলায় গত ৭ জুন ‘জেসমিনের আর্থিক লেনদেনে নওগাঁর এডিসি মিল্টনের নাম’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়।
তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে সংযুক্ত চিরকুটের ছবিতে যে মোবাইল নম্বরটি প্রদর্শিত হয়েছে, সেটি তার (এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায়) নয় এবং নম্বরটির সঙ্গে কোনোভাবেই তিনি সম্পৃক্ত নন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল নম্বরটির ব্যবহারকারীর তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ ছিল। বিনা কারণে কারও যাতে পেশাগত সুনাম ও ব্যক্তিগত সম্মানহানি না হয়, সে জন্য বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে সংবাদ পরিবেশন করা উচিত ছিল।
এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রকৃত তথ্য যাচাই না করে একটি স্পর্শকাতর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত জেসমিনের ছবির পাশে আমার ছবি যুক্ত করে সংবাদ প্রকাশ করার বিষয়টি আপত্তিকর এবং সম্মানহানিকর। এরূপভাবে সংবাদ পরিবেশন প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এর ১১ ধারা ও তদধীনে প্রণীত বাংলাদেশের সংবাদপত্র, সংবাদ প্রকাশক ও সাংবাদিকদের জন্য আচরণ বিধিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’
তিনি প্রকাশিত ওই সংবাদকে আপত্তিকর এবং সম্মানহানিকর আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নিউজবাংলার বক্তব্য
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা গত ২৯ মে নওগাঁ সার্কিট হাউসে এসে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
ওই সময় স্বজনরা জেসমিনের হাতে লেখা ৪৬টি চিরকুট তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নম্বর, ‘৫০ হাজার টাকা’ অঙ্কে ও কথায় লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির কাছে চিরকুটটি জমা দেয়ার সময় এর ছবি তোলা হয়।
পরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি চিরকুটে লেখা নম্বরটি নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনিও জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। সুলতানা জেসমিনকে তিনি চিনতেন না। এ ছাড়াও জেসমিনের সঙ্গে তার পরিবারের কারও কোনো সম্পর্ক ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
মিল্টন চন্দ্র রায় যে বক্তব্য দেন, সংবাদে সেই বক্তব্য তুলে ধরা হয়। কারও পেশাগত সুনাম, সম্মানহানি ও হেয় করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি।