বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেন্দ্রে ভোটার আনাই বড় চ্যালেঞ্জ, ভাবছেন রাসিকের প্রার্থীরা

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২৩ ২১:৪৭

নির্বাচনে আগে থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে এক ধরনের সংশয় ছিল। তার ওপর বিএনপির কঠোর অবস্থান এবং শেষ মুহুর্তে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ভোট বর্জনের ঘোষণার পর সে সংশয় আরও প্রকট হয়েছে। এ কারণে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি প্রার্থীরা ভোটাদের উপস্থিতির ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে আনা নিয়ে তৎপর প্রার্থীরা। নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাবার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন তারা। মেয়র, কাউন্সিলর সব প্রাথীই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতির বিষয়ে। মূলত বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।

আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির কোনো নেতা অংশ নেননি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে বিএনপির ১৬ জন নেতা-কর্মী অংশ নিলেও দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভোট বর্জনের বিষয়ে তাদের কঠোর অবস্থানও জানান দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি ভোট বর্জন করলেও রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের একজন প্রার্থী ছিলেন। তবে বরিশালে নির্বাচনের পর তারাও ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ওই ঘোষণার পর থেকে ভোটের মাঠে নেই ইসলামি আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

নির্বাচনে আগে থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে এক ধরনের সংশয় ছিল। তার ওপর বিএনপির কঠোর অবস্থান এবং শেষ মুহুর্তে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ভোট বর্জনের ঘোষণার পর সে সংশয় আরও প্রকট হয়েছে। এ কারণে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি প্রার্থীরা ভোটাদের উপস্থিতির ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কাউন্সিলর থেকে শুরু করে মেয়র পর্যন্ত সবার পক্ষ থেকেই ভোটারদের কেন্দ্রে যাবার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

রাজশাহীতে মেয়র পদে যে চারজন প্রার্থী রয়েছেন, তার মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের মাঠ শুরু থেকেই ভালো। নগরবাসীর মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, লিটনের বিজয়ী হতে তেমন কোনো বেগ পেতে হবে না। এরপরও নির্বাচনী প্রচারে কোনো ঘাটতি রাখছেন না তিনি। পোস্টারিং, মাইকিং, মতবিনিময়, গণসংযোগ- সব কিছুই ব্যাপকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন লিটন ও তার অনুসারীরা।

আওয়ামীলীগ নেতারা পুরো নগরীতে নিয়মিতভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। লিটনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করে সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রে যাবার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, আমাদের প্রার্থীর বিপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কিন্তু আমরা সেই কথা শুনে বসে থাকতে চাই না। নির্বাচনকে আমরা গুরুত্ব দিয়েই দেখছি। কোনো প্রার্থীকেই আমরা ছোট করে দেখছি না।

‘আমরা নগরীতে একটি উৎসবের আমেজ করতে চেয়েছি। এর মধ্যেই সবখানে সে আমেজ তৈরি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভোটকেন্দ্রেও উৎসবের আমেজ নিয়েই যাবেন ভোটাররা।’

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। মূলত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এবার তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও কাজ করবেন। আশা করছি, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভোটার ভোট দিবেন।’

জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘ভোটের মাঠ এখন পর্যন্ত ভালোই দেখছি। পরিবেশ এমন থাকলে আশা করছি ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন।

‘কেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতির বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা যারা প্রার্থী আছি, এটা তাদের সম্মানের ব্যাপার। ভোটারদের যদি কেন্দ্রে নিয়ে যেতে না পারি, তাহলে তো এটা আমাদেরই ব্যর্থতা।’

নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিদিনের কর্মসূচিতে ভোটারদের কেন্দ্রে যাবার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছেন। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলছেন, ‘অনুগ্রহ করে ভোটকেন্দ্রে যাবার বিষয়ে কেউ অবহেলা করবেন না। আমরা সহজেই পাস করে যাব, এই ভাবনা ভেবে কেউ বসে থাকবেন না। এমনটা করলে সেটি হবে বড় একটা ভুল। আপনারা সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটটি দেবেন।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর ১২ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভায় আওয়ামী লীগের এ মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘যত বেশি ব্যবধানে আমাকে বিজয়ী করবেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ততবেশি অর্থ বরাদ্দ এনে উন্নয়ন করতে পারব।’

২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে চারজন ছাড়াও সাধারণ ৩০টি কাউন্সিলর পদে ১১২ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি আসনের বিপরীতে ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।

রাজশাহীতে এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।

এ বিভাগের আরো খবর