দেশের জনগণের দাবির মুখে ও আর্ন্তজাতিক চাপে সরকার পালানোর পথ খুঁজছে বলে মনে করছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে’- ব্যানারে খুলনায় পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হেলাল বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রীরা একেক সময় একেক কথা বলছেন। সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। আগামীতে আবারও সাজানো পাতানো নির্বাচন করার জন্য সরকার প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে।
‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অধীনের আর কোনো নির্বাচন হবে না, দেশের জনগণের দাবির মুখে ও আর্ন্তজাতিক চাপে সরকার পালানোর পথ খুঁজছে। তারা বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েও হালে পানি পায়নি। বিগত ১৫ বছরে যে সকল হত্যা, গুম, খুন হয়েছে তার বিচার এদেশের মাটিতেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়। আলেম ওলামারাও নিরাপদ নয়। বরিশালে একজন আলেমের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।’
বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে হেলাল পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। বাংলাদেশের সংবিধানের ওপর আপনাদের শপথ আছে, কিন্তু কোনো ফ্যাসিবাদি সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে নির্বিচারের বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর পরিনাম ভালো হবে না।
‘পতন নিশ্চিত একটি সরকারের হয়ে খুলনার পুলিশ প্রশাসন যা করছেন তা মোটেই কাম্য নয়। এখন সময় এসেছে দেশে গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার। আমাদের লড়াই প্রশাসনে বিরুদ্ধে নয়, আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে। দেশের জনগণ জেগে উঠেছে। জনগণের আন্দোলনে সরকার আজ ভীত। তাই এ সরকারকে বিদায় করাই এখন জনগণের একমাত্র লক্ষ্য। সহসা বিদায় না নিলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘সরকার দেশকে আবারও বাকশালিপন্থায় পরিচালনা করতে চাচ্ছে, কিন্তু এ দেশের মানুষ সে সুযোগ আর দেবে না।’
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানসহ আরও উপস্থিত ছিলেন আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ রহমান মফিজ, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারুসহ অনেকে।