খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কৃষি ব্যাংকের পরিত্যক্ত ভবন নিলামে অংশ নিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকায় কেনার কথা বলছেন ক্রেতা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দাপ্তরিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীঘিনালা মডেল মসজিদ নির্মাণ করতে উপজেলা কৃষি ব্যাংকের জমিতে পরিত্যক্ত ভবন নিলাম ডাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম।
নিলামে সাড়ে তিন লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা মো. বিল্লালকে চূড়ান্ত করা হয়।
ওই দিনই চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সোনালী ব্যাংকের দাপ্তরিক অ্যাকাউন্টে দুই রসিদে টাকা জমা হয় ১ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা।
জানতে চাইলে ক্রেতা উপজেলা সদরের মো. বিল্লাল বলেন, ‘আমি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় পরিত্যক্ত ভবনটি নিলামে অংশ নিয়ে কিনি। পরে ঠিকাদার নুর হোসেনের কাছে পুরো টাকা জমা দেই।’
ঠিকাদার নুর হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আসলে এ সম্পর্কে আমি কোনো কিছুই জানি না।’
এলজিইডির দীঘিনালা উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ দাশ বলেন, ‘ইউএনও স্যার যে প্রক্রিয়ায় ভবনটি নিলামে বিক্রি করেছেন, তা পুরোপুরি নিয়ম বহির্ভূত। চাইলেই অনেক কিছু বলতে পারছি না।’
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, ‘ভবনটি কত টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে, তা দেখতে হবে। নুর হোসেন একজন ঠিকাদার। তার কাছে কেন-ই-বা দরদাতা টাকা জমা দেবেন? কেউ হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিষয়টি যাচাই করে দেখব।’