নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ৬০ দিনে শেষ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ ঘটনার তদন্ত কাজ শেষ করতে দুই মাস সময় আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
তিনি আদালতে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এভিডেন্স (সাক্ষ্য) সংগ্রহ করেছে। আরও আনুষাঙ্গিক কাজ রয়েছে। তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আবেদনের বিরোধীতা করে রিটের পক্ষের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, তারা আদালতের আদেশের এক মাস দুই দিন পর কমিটি গঠন করেছেন। এখানে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। দুই মাস সময় দেয়া ঠিক হবে না।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছে, আমরা দুই মাস সময় দিচ্ছি। দুই মাস কিন্তু দুই মাসই। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। এটা সেনসেটিভ (স্পর্শকাতর) ম্যাটার (বিষয়)। বার বার সময় দেয়া হবে না। পরে আদালত দুই মাস সময় আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়।
গত ৫ এপ্রিল নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত র্যাব সদস্যদের দায়িত্ব থেকে আপাতত সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশের পর উচ্চ পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
২৮ মার্চ র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।