বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোপালগঞ্জের দস্তন-কদমি সড়কের বেহাল দশা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ জুন, ২০২৩ ১২:৫০

নির্মাণের পর সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এ পথে চলতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণের। বর্ষ মৌসুমে এ ভোগান্তি যেন বেড়েছে কয়েক গুণ। ইটের তৈরি রাস্তা বাদ দিয়ে তাই পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) রাস্তা করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দস্তর-কদমি সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। খানাখন্দ আর জল কাঁদায় সড়কটি চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে।

নির্মাণের পর সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এ পথে চলতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণের। বর্ষ মৌসুমে এ ভোগান্তি যেন বেড়েছে কয়েক গুণ। ইটের তৈরি রাস্তা বাদ দিয়ে তাই পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) রাস্তা করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের দস্তন গ্রাম এবং ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কদমি গ্রাম; এ দু গ্রামকে দস্তর-কদমি সড়কটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে মিলিত করেছে।

এই দুই উপজেলার প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ কাশিয়ানীর জয়নগর বাজারে বা হাটে প্রয়োজনীয় মালামাল সদাই ও বিক্রি করে থাকেন। বাজারে যাওয়া-আসার সুবিধার জন্য গত ১২ বছর আগে নির্মাণ করা হয় সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৬ ফুট প্রস্তের ইটের তৈরি এইচবিবি সড়কটি।

সড়কে একটি ছোট সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখন পযর্ন্ত এপ্রোচ ঠিক না করায় বৃষ্টি কাঁদা হয় এতে। ফলে চলাচলে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

ভ্যান চালক সোহাগ মোল্যা বলেন, এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট ইঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম খান বলেন, এ সড়কের প্রায় জায়গা ভাঙা। গত কয়েক বছরে কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। গত প্রায় ২০ বছর ধরে এভাবেই পড়ে আছে। এ সড়ক দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা চাই এই সড়কটি মেরামত করা হোক।

যাত্রী মো. জুয়েল শেখ বলেন, এই সড়কটি পিচের (কাপের্টিং) সড়ক করা উচিত। সড়কটি উঁচু করলে ভাল হয়। তা না হলে বৃষ্টি বর্ষায় কাঁদা জমে যায়। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ সড়ক দিয়ে ফরিদপুর জেলা ও গোপালগঞ্জ জেলার মানুষ চলাচল করে। বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পাড়ায় পণ্য আনা নেয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ইজিবাইক চালক সজীব বলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দস্তন গ্রাম ও ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কদমি গ্রামের মানুষ নিয়ে আমাকে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কটির বেহাল অবস্থা থাকায় মাঝে মধ্যে যাত্রী নিয়ে আসতে পারি না। এই সড়কে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কদমি গ্রামের বাসিন্দ নাগর আলী বলেন, কদমি গ্রাম থেকে প্রতিদিন বাজার করতে গোপালগঞ্জের দস্তন গ্রামে আসতে হয়। কিন্তু সড়কটি এতটাই খারাপ যে এ সড়ক দিয়ে আর চলাচল করতে ইচ্ছা করে না। দ্রুত এই সড়কটি মেরামত করার দাবি জানাই।

কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান মিয়া বলেন, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি ইটের তৈরী হওয়ায় মানুষের চলাচলে খুবই সমস্যা হয়। নতুন ব্রীজের দুইপাশে নিচু থাকায় যানবাহন উঠা নামায় সমস্যা হয়েছে। বর্তমানে সেটি ঠিক হয়েছে। তাই জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সরকার যেন দ্রুত সময়ে এই সড়কটি কার্পেটিংসহ সম্প্রসারণ করে দেন সেই দাবি করছি।

গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেন, দস্তন-কদমি সড়কটি এইচবিবি সড়ক। সড়কটির উন্নতি করনের আগে ওই সড়কের একটি ছোট ব্রিজ প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে কিছু স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এইচবিবি সড়কটি আগামী ২৩-২৪ অর্থ বছরে সম্প্রসারণসহ কার্পেটিং করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর