বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজশাহী ও সিলেটে ভোট বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের

  • প্রতিবেদক, বরিশাল   
  • ১২ জুন, ২০২৩ ২০:২৯

বরিশালে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন, ‘আমার ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। আজকের ভোটে এমন কোনো বুথ নেই যেখানে আওয়ামী লীগের লোক দাঁড়িয়ে থেকে ভোটারদের তাদের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেনি।’

নির্বাচনে মারাত্মক অনিয়ম হয়েছে দাবি করে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একইসঙ্গে রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বরিশালে হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে দলের পক্ষ থেকে শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় দলটির আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম (পীরসাহেব চরমোনাই) সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন। বরিশাল নগরীর চাঁদমারী এছহাকীয়া মহাম্মদীয়া মাদ্রাসায় এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘প্রশাসন যখন সরকার দলের হয়ে কাজ করে, তখন সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করতে পারি না। যার কারণে এই সরকার পতনের দাবি জানাচ্ছি। সেসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি।

‘নির্বাচনে অনেকগুলো বুথ তারা নিয়ন্ত্রণে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অনিয়ম বাস্তবায়ন করেছে। এই মারাত্মক অনিয়মের প্রতিবাদে আমরা নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করছি। সে সঙ্গে খুলনার ফলও আমরা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘সিলেট ও রাজশাহী নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী আছেন। ওই নির্বাচনগুলো থেকেও আমাদের প্রার্থিতা বয়কটের ঘোষণা করছি। ফলে তারা (হাতপাখার প্রার্থীরা) আর ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।’

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও মনোনীত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিলেন। আজ দুইবার তার ওপর হামলা করে জখম করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আমরা ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাই।

‘আজ নির্বাচনে অনিয়ম ও (বরিশালে) নায়েবে আমিরের ওপর হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশ বিক্ষোভ ও মিছিল করব আমরা।’

পরবর্তীতে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু আমাদের কেউ এখন পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেনি।

‘আমরা নিয়ম মেনে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলো করে আসছিলাম। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও সরকার যে আচরণ করছে, আমরা বার বার বলার পরও তারা তাদের চরিত্র পরিবর্তন করছে না।

‘এই আওয়ামী লীগ সরকার যতগুলো নির্বাচন করেছে, সবগুলো অনিয়ম ও অস্বচ্ছ এবং বিভিন্ন পর্যায়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। আর জাতীয় নির্বাচনে এই পরিবেশ থাকলে আমাদের নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা আগেই দেয়া হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বরিশালে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। আজকের ভোটে এমন কোনো বুথ নেই যেখানে আওয়ামী লীগের লোক দাঁড়িয়ে থেকে ভোটারদের তাদের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেনি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পরাজিত এই মেয়র প্রার্থী।

এ বিভাগের আরো খবর