বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ধাক্কা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
এই প্রার্থীর অভিযোগ, নগরের কাউনিয়ার কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীআবুল খায়ের আব্দুল্লাহর লোকজন প্রভাব বিস্তার করছেন। আর সেই কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখার সময় নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের এ কাদের চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশকালে তার কর্মীরা মারধরের শিকার হন। ধাক্কাসহ লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি ঘুরে দেখার জন্য কাউনিয়ায় গেছি। সেখানে একটি সেন্টারে মামা খোকন (রফিকুল ইসলাম খোকন)-কে দেখি। বুথের মধ্যে একজন ব্যক্তি ঢুকছে, তাকে পর্দার মধ্য থেকে বলছে, ওমুক জায়গাতে ভোট দেয়ার জন্য। আমি প্রিসাইডিংয়ের কাছে যাচ্ছি, তখন মামা খোকন আমার হাত ধরে টান দিয়ে বলেন আপনি কে? আমি বললাম, আমি প্রার্থী? তখন সে বলে, এখানে আসছেন কেন? তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, প্রার্থী আসতে পারবো না? এরপরে প্রিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী করছেন আপনারা। সে তখন দেখি নার্ভাস, এরপর সে নানান কিছু আমাকে বুঝিয়েছে।
ফয়জুল করীম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আমি অভিযোগ দিয়েছি। ক্ষমতাসীনরা প্রায় সেন্টারেই প্রভাব বিস্তার করছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ কেন্দ্রে প্রশাসন বলছে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার কথা। আমাদের কোনো ভোটার ঢুকতে গেলে, তারা পারছে না।
এ সময় তিনি বলেন, নগরের ১, ২, ৬, ৭, ২২, ২৫, ২৬, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে, নয়তো ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আর এ ছাড়া প্রায় জায়গাতেই আওয়ামী লীগের লোকজন প্রভাব বিস্তার করছে। এসব বিষয়ে আমি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা বলছেন, দেখছেন, কিন্তু বাস্তবে কী হবে জানিনা।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী দুটি কেন্দ্রের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, আমরা সংশ্লিষ্টরদের তাৎক্ষণিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি। আশা করি আধা ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে।