বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিরিয়ানি খেয়ে অচেতন দম্পতি, গ্রিল কেটে বাসায় ডাকাতি

  • প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১২ জুন, ২০২৩ ১২:৫৭

ভুক্তভোগী পরিবারটি জানিয়েছে, ডাকাতির আগে পরিবারের দুজন কোনো এক ভাবে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো বিরিয়ানি খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। ডাকাতরা এই চেতনানাশক মিশিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্রিল কেটে ঢুকে একটি বাসা থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন কিছু ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার মধ্যরাতে কেরানীগঞ্জের আটি নিমতলী ছোট বাওয়াল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী পরিবারটি জানিয়েছে, ডাকাতির আগে পরিবারের দুজন কোনো এক ভাবে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো বিরিয়ানি খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। ডাকাতরা এই চেতনানাশক মিশিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অসুস্থ হয়ে পড়া ওই দম্পতিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, দুজনকেই মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ তদন্ত করছে।

অসুস্থ হওয়া দুজন হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ করা ২৪ বছর বয়সী নাসরিন সুলতানা মনি ও ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ২৪ বছরের এরশাদ আবির।

বাসায় রান্না করা বিরিয়ানি খাওয়ার পর এ দম্পতি অচেতন হয়ে পড়েন বলে জানান ভুক্তভোগী নাসরিনের নানি জরিনা খাতুন।

জরিনা খাতুন জানান, বাড়িটি নাসরিনের বাবার। গত মাসের ৮ তারিখ নাসরিন ও আবিরের বিয়ে হয়। আবির ময়মনসিংহ থেকে বেড়াতে আসেন শ্বশুর বাড়িতে। রাতে নাসরিনের মা মেহেরুন্নেসা তাদের জন্য বিরিয়ানি রান্না করেন। এরপর নাসরিনের মা মেহেরুন্নেসা এবং তার ছোট বোন তনু বিরিয়ানি খেয়ে শুয়ে পড়েন এবং রান্নাঘরে নাসরিন এবং এরশাদের জন্য বিরিয়ানি রেখে দেন।

তিনি জানান, রাত ১১ টার দিকে রান্নাঘর থেকে বিরিয়ানি এনে খান নাসরিন ও আবির। এর পরে তারা অসুস্থ অনুভব করেন। এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দুইটার দিকে তাদের বাড়ির তিন পাশের গ্রিল কেটে ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢোকে। তখন নাসরিনের মা ও ছোট বোন ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এরপর আলমারি, শোকেস ভেঙে ৪-৫ লাখ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৩টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তারা ভাঙা গ্রিল দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের বাসায় যায়।

ভুক্তভোগী এরশাদ আবির বলেন, শনিবার আমি ময়মনসিংহ থেকে কেরানীগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসি। রাতে যখন রান্নাঘর থেকে বিরিয়ানি এনে দুজন খাই, তখনই বিরিয়ানি তেতো লাগছিল। এর কিছুক্ষণ পরই প্রথমে নাসরিন মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। এরপর আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমরা কখন বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি আর পরবর্তীতে বাসায় কী হয়েছে তা কিছুই জানি না।

তিনি জানান, তার মানিব্যাগে ২৫ হাজার টাকা ও ২টি পেনড্রাইভ ছিল। সেগুলোও লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রান্না ঘরের জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা প্রথমে বিরিয়ানিতে চেতনানাশক ছিটিয়ে রেখে দিয়েছিল বলে ধারণা তার।

এ বিভাগের আরো খবর