লোডশেডিংয়ের কারণে ঢাকায় পানি সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে। এ সংকট আরও বাড়লে কোনো এলাকায় আট ঘণ্টা পানি বন্ধ রেখে অন্য এলাকায় দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাওরানবাজারে ওয়াসা ভবনে চলমান পানি সংকট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান ওই কথা বলেন।
তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমাদের ১০টি মডস জোনের মধ্যে পাঁচটিতে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। বাকি পাঁচটি জোনে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়মিত না পাওয়ার কারণে পাম্প চালাতে পারছে না ঢাকা ওয়াসা। ফলে ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি জানান, ঢাকায় দৈনিক ২৮৫ থেকে ২৯৫ কোটি লিটার পানির চাহিদা আছে। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ২৪০ কোটি লিটারের মতো।
এমডি বলেন, ‘এই সংকটের সময় রানিং পানি ব্যবহার না করে, পাত্রে নিয়ে পানি ব্যবহার করুন। এ ছাড়া সংকট বাড়লে প্রয়োজনে রেশনিংয়ের মাধ্যমে কোনো এলাকায় ৮ ঘণ্টা পানি বন্ধ রেখে অন্য এলাকায় দেয়া হবে।’
ঢাকা ওয়াসার এমডি জানান, যেসব এলাকায় পানির সমস্যা হচ্ছে, সেখানে ওয়াসার গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কাজে ঢাকা ওয়াসার ৪৮টি পানির গাড়ি কাজ করছে। ছোট রাস্তার জন্য ১৭টি ট্রলি গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য গাড়িতেও পানি ভরতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তাকসিম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বলেছি ওয়াসার পাম্পে ডুয়েল লাইন যেন করে দেয়া হয়।’
পানির অপচয়ও হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। একদিকে পানি কম উৎপাদন হচ্ছে। পাইপের পানি গরম থাকায় অনেকে দীর্ঘ সময় পানি ছেড়ে ঠান্ডা পানি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’