বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জনরায় মানবেন খালেক, সুষ্ঠু ভোটের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে শফিকুল

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ২৬ মে, ২০২৩ ১৭:১৫

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পেছনের দিকে আমরা যদি তাকায় তাহলে দেখা যাবে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ- যত নির্বাচন হয়েছে, তাতে আমি মনে করি নাগরিকদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা নাগরিকদের আবার ফেরত দিতে হবে। আমি ভোট কেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে পারব না- জনগণের মাঝে যে এমন ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

খুলনা সিটি করপোরেশনে (সিসিক) নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে, তা-ই মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। আর ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, তা সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে বৃহস্পতিবার পরাজিত করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। এর পর দিন শুক্রবারই খুলনা সিটি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনি প্রচারে নেমেছেন মেয়র প্রার্থীরা। এ সময় কথা বলেন নৌকার খালেক ও লাঙ্গলের শফিকুল।

সকাল ১০টার দিকে নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।

এ সময় তিনি বলেন, ‘জনগণ যে রায় দেবে তা আমরা মেনে নেব। গাজীপুরে জনগণ যে রায় দিয়েছে, তা আমরা মেনে নিয়েছি। এর আগেও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি পরাজিত হয়েছিলাম; তা মেনে নিয়েই এ অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছি।

‘খুলনা শহরে উন্নয়ন হয়েছে। তবে তা দৃশ্যমান হতে আরও প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। ১৪০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হলে খুলনা হবে তিলোত্তমা নগরী।’

জাতীয় পার্টি থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করা শফিকুল খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। দলীয় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হন সকাল সোয়া ১০টার দিকে।

এ সময় তিনি বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগ সরকার চায়, তাহলেই শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আর যদি তারা সেটা না চায় তাহলে হবে না।

‘পেছনের দিকে আমরা যদি তাকায় তাহলে দেখা যাবে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ- যত নির্বাচন হয়েছে, তাতে আমি মনে করি নাগরিকদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা নাগরিকদের আবার ফেরত দিতে হবে। আমি ভোট কেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে পারব না- জনগণের মাঝে যে এমন ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন আব্দুল আউয়াল। তিনিও সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দলীয় হাতপাখা প্রতীক গ্রহণ করেন।

এ সময় আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আজ আমাদের প্রতীক বরাদ্দ হল। আমরা এতদিন প্রকাশ্যে কাজ করতে পারিনি; এখন থেকে আমরা প্রকাশ্যে জনগণের সঙ্গে গণসংযোগ শুরু করলাম।

‘আমরা ইসলামী আন্দোলনের মাধ্যমে খুলনা সিটির একটা পরিবর্তন করতে চাই, আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, দুষণমুক্ত নগর গড়তে চাই। আপনারা ভোটের মাধ্যমে আমাদের সহযোগিতা করবেন।’

জাকের পার্টি থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন এসএম সাব্বির হোসেন। দুপুরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে গোলাপফুল প্রতীক গ্রহণ করেন।

প্রতীক নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার চালানো হবে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই ভোট হবে আশা করি। ভোটারদের মধ্যে বেশ উৎসাহ কাজ করছে। যদি পরিস্থিতি এমন থাকে তাহলে বেশ ভালো হবে।’

খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চার প্রার্থীই দলীয় প্রতীক পেয়েছেন এদিন। রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ভোটের মাঠে চার মেয়রপ্রার্থীর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩১টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী। প্রতীক পেয়ে তারাও নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যলায় সূত্র জানায়, নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। নির্বাচনের কাজে ৩ হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এর মধ্যে নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে খুলনা মেট্রপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। এছাড়া বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলাউদ্দীন বলেন, ‘এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে।’

এবারের সিটি নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার ভোট দেবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

এ বিভাগের আরো খবর