বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১৭৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ৪৭টি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ফৌজদারি মামলা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত রয়েছেন অনেকে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হলফনামার হিসেব বলছে, ৩০ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৩ জনের মধ্যে ৯৮ জন প্রার্থী বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জাড়িত রয়েছেন। এছাড়া পেশায় ৫ জন আইনজীবী, ৪ জন বেসরকারি চাকরিজীবী, ৪ জন শিক্ষক, ৪ জন কৃষি ও মৎস খামারি, ৩ জন কৃষিজীবী, ৩ জন বাড়ি ও দোকানঘর মালিক, ৩ জন কাউন্সিলর, ১ জন সাংবাদিক, ১ জন গৃহিনী, ১ জন খামারি, ১ জন দলিল লেখক, ১ জন প্রবাসী, ১ জন ইলেকট্রিশিয়ান, ১ জন রাজনীতিবিদ এবং ১ জন ইমারত শ্রমিক রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন হলফনামায় তার পেশার তথ্যে ‘প্রযোজ্য নয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ৩৪ জন রয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। এছাড়া ২৪ জন প্রার্থী মাধ্যমিক ও ২ জন দাখিল পাশ। এদের মধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ২১ জন, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী রয়েছেন ১৬ জন। এর বাইরে বিএ ও এমএ-এলএলবি সম্পন্ন করেছেন ৯ জন প্রার্থী। এর বাইরে এসএসসি অকৃতকার্য রয়েছেন ১ জন প্রার্থী, অষ্টম শ্রেণি পাশ রয়েছেন ১৬ জন, পঞ্চম শ্রেণি পাশ রয়েছেন ১ জন ও ৮ জন প্রার্থী স্ব-শিক্ষিত বলে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে। এখানেও একজনের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পাওয়া যায়নি।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী ১৩৩ জন বৈধ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৯ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৪৭টি ফৌজদারি মামলা চলছে এবং ৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৫টি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। এসব প্রার্থীসহ মোট ৫৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ৯৯টি মামলা দায়ের হয় যেগুলো নিষ্পত্তি বা খালাস হয়ে গেছে। এছাড়া অতীতে একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২টি সাধারণ ডায়েরি ছিল বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
এদিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০টি আসনে ৪০ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে টিকে রয়েছেন। যেখানে ৩০ জন প্রার্থীই পেশায় গৃহিনী। তবে এর পাশাপাশি কেউ কেউ নিজেকে সমাজসেবক, প্রাইভেট টিউটর ও হস্তশিল্পী বলেও উল্লেখ করেছেন। এর বাইরে ৭ জন ব্যবসায়ী, ২ জন হাঁস ও মুরগি পালনকারী এবং ১ জন চাকরিজীবী রয়েছেন।
এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে সর্বোচ্চ ১১ জন অষ্টম শ্রেণি পাশ, ৯ জন স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, ৬ জন এসএসসি পাশ, ৪ জন স্বশিক্ষিত, ৩ জন এমএ ও বিএ এলএলবি, ২ জন এইচএসসি পাশ, ১ জন এসএসসি অকৃতকার্য, ১ জনের এসএসসি চলমান, একজন দশম শ্রেণি পাশ, ১ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ও ১ জন পঞ্চম শ্রেণি পাশ রয়েছেন।
সংরক্ষিত কাউন্সিলর আসনের প্রার্থীদের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া ১০টি মামলায় নিষ্পত্তি বা খালাস পেয়েছেন ৬ প্রার্থী।