বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাওনাদারের বাড়িতে ঋণগ্রহীতার আত্মহত্যা, আটক ১

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ২৪ মে, ২০২৩ ২৩:১২

চট্টগ্রামের রাউজানে কাজী দিদারুল আলমকে ১৩ মে পাওনাদার ইদ্রিস ও ইউনুসসহ ৬ থেকে ৭ জন জোর করে ইউনুসের বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। ১৬ মে ওই বাসায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দিদারুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রামের রাউজানে পাওনাদারের বাড়িতে আটক থাকা অবস্থায় কাজী দিদারুল আলম নামে এক ঋণগ্রহীতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মো. ইদ্রিস নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‍্যাব।

নগরীর কর্ণফুলী থানার আলতিনগর এলাকা থেকে মঙ্গলবার তাকে আটক করা হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দিদারুল আলমের ছেলের করা মামলায় তাকে আটক করা হয়। আটক ইদ্রিস রাউজান উপজেলার মোকামীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

র‍্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব জানায়, রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকার কাজী দিদারুল আলম ৫ বছর আগে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় এলাকার ইদ্রিসসহ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে ইদ্রিসসহ অন্যরা তাকে পাওনা টাকার জন্য চাপ দেন। টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হয়।

দিদারুল আলম ১৩ মে জরুরি প্রয়োজনে বাড়িতে গেলে পাওনাদার ইদ্রিস ও ইউনুসসহ ৬ থেকে ৭ জন মিলে জোর করে ইউনুসের বাসায় নিয়ে তাকে আটকে রাখেন। সেখানে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে ‘টাকা দিতে না পারলে আত্মহত্যা করস না কেন?’ বলে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেন তারা।

১৬ মে দিদারুল আলম তার ভাই বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছেন জানিয়ে সেই টাকা গ্রহণের জন্য ইউনুস ও তার পরিবারের সদস্যদের নোয়াপাড়ায় পাঠিয়ে দেন। পরে ইউনুসের খালি বাসায় আটক থাকা অবস্থায় বিকেলে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার বলেন, ‘কাজী দিদারুল আলমের আত্মহত্যার ঘটনায় তার ছেলে চার জনকে এজহারনামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় একটি মামলা করেন।

‘মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এর এক পর্যায়ে মামলার প্রধান আসামি মো. ইদ্রিসের অবস্থান শনাক্ত করে কর্ণফুলী থানার আলতি নগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।’

আটক আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর