বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অপহরণের ২৫ দিন পর মিলল ৩ বন্ধুর লাশ

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)   
  • ২৪ মে, ২০২৩ ২০:৫৪

পুলিশ জানায়, ২৮ এপ্রিল বেড়ানোর কথা বলে টেকনাফের উদ্দেশে বের হন ওই তিন বন্ধু। যাত্রাপথে সড়কে সিএনজি থামিয়ে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী তাদের পাহাড়ের গভীর নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্রটি।

কক্সবাজারের টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণকারীদের খপ্পরে পড়ে নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে টেকনাফের দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা করে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী।

নিহতরা হলেন কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার ৩০ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইউসুফ, চৌফলদণ্ডী এলাকার ২৮ বছর বয়সী রুবেল ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তারা একে অপরের বন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘তিন বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। এক পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে বুধবার বিকেলে টেকনাফের দমদমিয়া সংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে তাদের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।’

এ ঘটনায় অন্য অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, ২৮ এপ্রিল বেড়ানোর কথা বলে টেকনাফের উদ্দেশে বের হন ওই তিন বন্ধু। যাত্রাপথে সড়কে সিএনজি থামিয়ে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী তাদের পাহাড়ের গভীর নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্রটি।

এদিকে নিখোঁজদের সন্ধানে পাহাড়ে ছুটে আসেন নিখোঁজ এমরানের পিতা মো. ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘২৫ দিন আগে আমার ছেলেসহ তিন বন্ধু মিলে টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হয়। পরে এক সিএনজি ড্রাইভারের কাছ থেকে শুনি আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলে অপহরণের ঘটনা শুনে টেকনাফ থানাকে অবহিত করি।’

এরপরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন ইব্রাহিম।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে পাহাড় থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ছেলের মুখ দেখতে পারিনি।’

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাবের কয়েকটি টিম পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর